রূপসা উপজেলার নন্দনপুর গ্রামে কবলা দলিলমুলে ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় সম্পত্তি জবর দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ১৫ জুলাই শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দক্ষিণ নন্দনপুর গ্রামের এক অসহায় নারী সাহিদা বেগমের কন্যা রেহানা বেগম।
উপজেলার দক্ষিণ নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিন শেখের স্ত্রী সাহিদা বেগম স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, নন্দনপুর মৌজায় এস, এ, ৩১১ নং খতিয়ানে ১৪৪৯ নং দাগে ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারী রেকর্ডীয় মালিক কাশেম আলী শেখের কন্যা রওশন আরা বেগমের নিকট হতে ১১৩/৯৭ নং কবলামূলে ৬.৬০ শতক জমি ক্রয় করি। এ ছাড়া ২০০৫ সালের ১০ আগস্ট কাশেম আলী শেখের পুত্র মো. মহিদুল ইসলামের নিকট থেকে ১৪৯৪/০৫ নং কবলামূলে ৫ শতক জমি ক্রয় করি। দাতাগন আমাকে এস, এ, ৩১১ নং খতিয়ানে নির্দিষ্ট সীমানা চৌহদ্দী দিয়ে ভোগ দখল প্রদান করে। সে মোতাবেক বি,আর,এস ৩১৩ নং খতিয়ানের ১৪৪৯ নং দাগে ১১.৬০ শতক জমি ভোগ দখল করে আসছি। জমি ক্রয়ের পর যথাযথভাবে নামপত্তন করে কর খাজনাদি প্রদান করি। এমতাবস্থায় মৃত কাশেম আলীর ছেলে জাকির হোসেন, রশিদুল ইসলাম ও মহিদুল ইসলামের ছেলে আবদুল আজিজ দীর্ঘদিন যাবৎ তপশীল সম্পত্তি হতে আমাকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করে আসতে থাকে। এ ব্যাপারে গত ০৫/০৪/২৩ ইং তারিখ জাকির হোসেন, রশিদুল ইসলামকে বিবাদী করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খুলনায় মামলা দায়ের করি। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আদালতে মামলা চলাকালীন গত ইং ০৮/০৭/২০২৩ তারিখে আমাদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও জীবননাশের হুমকি প্রদান করে রাতারাতি জোরপূর্বক ঘেরা-বেড়া দিয়ে জমি জবর দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ করেছে। আমি ঘর নির্মাণে বাধা দিতে গেলে আসামীগন আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে, যার মোবাইল রেকর্ড আমার কাছে আছে। আমি একজন গরীব অসহায় মানুষ। আমার এই শেষ সম্বলটুকু আসামীগন গ্রাস করিলে আমার অপুরনীয় ক্ষতি হবে। আমার আর মাথাগোঁজার মতো কোন ঠাঁই থাকবে না। আসামীগন এলাকার সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আমার জমি দখল করার পর আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে গত ইংরাজী ১০/০৭/২৩ তারিখ রূপসা থানায় লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ করার পরদিন থেকে অবৈধ দখলদারদের হুমকি-ধামকি আরো বহুগুনে বেড়ে যায়। এদিকে থানায় অভিযোগ করার দু’দিন পর রূপসা থানা পুলিশ আমাদের বাড়িতে গিয়ে ঘরে মাদক আছে বলে তল্লাসী চালায়। পুলিশের এহেন আচরণে আমরা হতবাক হয়ে যায়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ওই খতিয়ানের ১৪৪৭ নং দাগে এক বিঘা জমি আজিজ গংরা জবর দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়া ১৪৪২ নং দাগে তাতেও ৪৮ শতক জমি থাকলেও ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে মনির সাহেবের নিকট ৫৩ শতক জমি বিক্রি করেন। অনুরুপভাবে ১৪৪৯ নং দাগে ৭০ শতক জমি থাকলেও বিক্রি করেছেন ৯০ শতক। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সাহিদা বেগম তার জমি অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী সাহিদা বেগম, তার কন্যা সেলিনা বেগম, হাসিনা বেগম ও জামাতা মোঃ মহিদুল ইসলাম।