শুধু গাছ লাগালেই বনায়ন হয় না। গাছের পরিচর্যা করতে হয়। সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করায় বনায়ন যেমন হচ্ছে তেমনি জনগণও লাভবান হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ শনিবার নিয়ামতপুরের নিয়ামতপুর- পোরশা সড়কে বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, গ্রামীণ মানুষ সরকারি সহায়তা হিসাবে ভিজিডি পাঁচ্ছে,খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ১৫ টাকায় চাল পাঁচ্ছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। গৃহহীণকে ঘর করে দিচ্ছেন তিনি। জনগণের জন্য শেখ হাসিনার দ্বার সবসময় খোলা।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, গাছপালা পৃথিবীর ফুসফুস। গাছপালা না থাকলে পৃথিবীতে কার্বনডাইঅক্সাইড বেড়ে যেত। গাছপালা বাতাস থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে পৃথিবীকে বসবাসযোগ্য রাখতে ভূমিকা রাখছে। তা নাহলে অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মারা যেত। একারনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণের ওপর জোর দিয়েছেন বলেন তিনি। বৃক্ষরোপন অনুষ্ঠানে নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ মোরশেদ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন নিয়ামতপুর উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ ও নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম।
উল্লেখ্য, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় স্ট্রীপ বাগান সৃজনকল্পে এ বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্প এলাকায় ২০-২৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হবে।
এরপরে খাদ্যমন্ত্রী নিয়ামতপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ নিয়ামতপুর উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।