নওগাঁর মান্দায় গোয়ালঘরে আগুন লেগে পুড়ে মারা গেছে চারটি গরু ও একটি ছাগল। শুত্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার প্রসাদপুর ইউনিয়নের পারএনায়েতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গরুগুলোকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন গৃহকর্তা তসলিম উদ্দিন প্রামানিক (৪৫)। তিনি পারএনায়েতপুর গ্রামের মৃত তফের উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তাঁর শরীরের ৮১ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে গোয়ালঘরে দেওয়া কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। গোয়ালঘরে জ্বালানি কাঠ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় গৃহকর্তা তসলিম উদ্দিন আগুন থেকে গরু-ছাগলকে বাঁচাতে গোয়ালঘরে ঢুকে পড়েন।
আশপাশের লোকজন টের পেয়ে সাবমারসিল পাম্পের সাহায্যে আগুন নেভালেও পুড়ে মারা যায় চারটি গরু ও একটি ছাগল। আগুনে ঝলসে যায় তসলিম উদ্দিনের শরীর।
স্থানীয় বাসিন্দা আতোয়ার হোসেন জানান, অগ্নিদগ্ধ তসলিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর অবস্থা খারাপ হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায় জানান, অগ্নিদগ্ধ তসলিমের শরীরের ৮১ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাৎক্ষনিক তাঁকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন প্রসাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মণ্ডল। তিনি বলেন, গৃহকর্তা তসলিম উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছে।