খুলনার পাইকগাছায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। উপজেলায় চলতি মাসের ১৬ জুলাই গড়ইখালী, ১৭ জুলাই চাঁদখালি, ১৮ জুলাই কপিলমুনি এবং ২৩ জুলাই হরিঢালী ইউনিয়নে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্বে পথ চলবে সংগঠনটি। এবারের সর্বোচ্চ পদে ছাত্রলীগ করে আসা, আওয়ামী পরিবারের সন্তান, ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজ, দলের দুঃসময়ে যারা দলের পাশে ছিলেন এমন নেতাকর্মীদের মধ্য থেকেই সংগঠনটির সর্বোচ্চ দু’টি পদে নেতা নির্বাচিত হবেন। দলীয় সূত্রমতে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র হাতকে আরো শক্তিশালী করতে কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে বাংলাদেশ আ.লীগের সহযোগী অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক ভীত আরো মজবুত করতে প্রত্যেকটি উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনে জোরেসোরে মাঠে নেমেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এর ই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ন্যায় পাইকগাছা উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে তৃনমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই কোন কোন না কোন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে বর্ধিত সভার মাধ্যমে আসন্ন সম্মেলনকে সফল করার লক্ষে সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করা হচ্ছে। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবক লীগে ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিরাই শীর্ষপদে স্থান পাবে। দলের দুর্দিনে যারা রাজপথে আন্দোলন করেছেন তাদেরকেই মূল্যায়ন করা হবে। তবে বিতর্কিত ও তাদের কর্মীরা সহ মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও ভূমি দস্যুতার সাথে জড়িত তাদের কোনোভাবেই দলে ঠাঁই হবে না। তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা জানান, আসন্ন সম্মেলনের মাধ্যমে দলের ত্যাগী, পরিক্ষিত ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের হাতে নতুন দায়িত্বভার তুলে দেওয়ার আহবান জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর নৌকার সাথে যারা বেইমানী করেছে তারা সহ মাদকাসক্ত, মাদকসেবী, মাদক মামলা, সন্ত্রাসী কার্মকান্ড, ঘের দখল, চাঁদাবাজি কর্মকাণ্ডে জড়িত বিতর্কিতরা যেন পদ না পায় এ বিষয়ে তারা জোর দাবি জানান। সর্বোপরি তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে পড়া এ অঙ্গসংগঠনটি স্থানীয় সাংসদ মো. আক্তারুজ্জামান বাবু'র নিরালস প্রচেষ্টা ও সহযোগীতায় বর্তমানে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী অঙ্গসংগঠনে রূপ নিয়েছে। গড়ইখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক এস এম আয়ুব আলী বলেন, যারা সব সময় দলের সাথে থেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকে তাদেরকে মূল নেতৃত্বে প্রত্যাশা করেন তিনি। আর দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে যারা দলীয় প্রতিকের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছিল তাদেরকে নেতৃত্বে আনলে দলীয় চেইন অব কমান্ড থাকে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। আ.লীগে অনুপ্রবেশকারী চাঁদখালী ইউনিয়ন আ.লীগের আহ্বায়ক মুনছুর আলী গাজী জানান, জামায়াত-বিএনপি বাদে যারা আ.লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ তারাই মূল নেতৃত্বে আসুক বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। কপিলমুনি ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন খোকন বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আ.লীগের সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সাথে আছে তারাই নেতৃত্বে আসুক বলে তিনি আশা করেন। আর যারা দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে দলীয় প্রতিকের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছিল তাদেরকে মূল দায়িত্বে না আনাই ভালো। কারণ তাদেরকে মূল দায়িত্বে আনলে দলের অনেক ক্ষতি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তৃপ্তি রঞ্জন সেন জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের দুর্দিনে রাজপথে আন্দোলনকারী, ছাত্রলীগ করে আসা, আওয়ামী পরিবারের সন্তান, ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজ, যোগ্য, পরিক্ষিত, আওয়ামী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। মাদকাসক্ত, মাদকসেবী, মাদক মামলা, সন্ত্রাসী কার্মকান্ড, ঘের দখল, চাঁদাবাজি কর্মকাণ্ডে জড়িত সহ বিতর্কিতদের কমিটিতে ঠাঁই হবে না। আর প্রতিটি ইউনিয়নে কমিটি প্রদান করা হবে এবং ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদক সহ আমন্ত্ররিত অতিথিবৃন্ধের সমন্বয়ে তবে একক কোন সিদ্ধান্তে কোন কমিটি প্রদান করা হবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।