কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়নের জনবহুল গ্রাম করপাতি। গ্রামটিতে প্রায় ১০হাজার লোকের বসবাস। গ্রামটিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাদ্রাসা ও ১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। গ্রামটিতে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে থেকে অদ্যাবধি তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। গ্রামটিতে মোট ৮টি সড়কের ৭টি এখনো কাঁচা, যার ফলে বর্ষা মৌসুমে বিশাল এ গ্রামটির হাজার-হাজার মানুষ চরম বিপর্যয় পোহাতে হয়। এ গ্রামের স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়-য়া শিক্ষার্থীরা নিদারুন কষ্ট শিকার করে যেতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। উন্নয়ন বঞ্চিত গ্রামটি দেখার যেন কেউ নেই।
জানা যায়, সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার দেখা গেলেও নাঙ্গলকোট উপজেলার করপাতি গ্রামটি রয়ে গেছে একে বারেই অনুন্নত। যার ফলে ওই গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামের ৭ কাঁচা সড়কেই ওই গ্রামের মানুষের জীবন বিষিয়ে তুলেছে। গ্রামের দিঘির পাড় থেকে কালাচৌঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবতেদায়ী মাদ্রাসা থেকে গ্রামের আলী পুকুর পাড় গণকবরস্থান, মিজান মার্কেট থেকে বাহুড়া দারুল আরকাম মাদ্রাসা, অ্যাডভোকেট আবদুস সোবহানের বাড়ি থেকে জনতা ব্যাংক ম্যানেজার মামুনের বাড়ি, সুলতান মিয়ার বাড়ি থেকে আশির পাড় নাছির উদ্দিন চৌধুরী মানিকে বাড়ি, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সিনা বাড়ি ব্রীজ, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বাইয়ারা খতিজান মসজিদ পর্যন্ত এ ৭টি সড়কের প্রায় ৮কিলোমিটার কাঁচা সড়ক এ গ্রামটির গলার কাঁটা হয়ে পড়েছে। সড়ক গুলো পাকা করণে ওই গ্রামের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিকট বিগত কয়েক বছর যাবৎ ঘুরাঘুরি করেও কোন সমাধান পাননি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন করপাতি গ্রামবাসী।
করপাতি গ্রামের সমাজপতি মাস্টার আবদুল লতিফ বলেন, সারাদেশে যখন উন্নয়ন আর উন্নয়ন ঠিক সেই সময়ে আমরা অর্থমন্ত্রীর এলাকার জনগণ হয়েও আমাদের গ্রামে এখনো ৭টি কাঁচা সড়কে জনগনের দুর্ভোগের শেষ নেই।
জোড্ডা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলার সবছেড়ে অবহেলিত গ্রাম আমাদের করপাতি। গ্রামটিতে বর্ষা কালে মানুষের কষ্টের শেষ নেই। আমি গ্রামের ৮ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণে অর্থমন্ত্রী, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।