রাজশাহী মোহনপুর উপজেলায় এক সাথে তিন কৃষকের বরজ থেকে জোর করে পান ভেঙে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষে মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদ তিন ছেলে তালাশ মোহাম্মদ খান, বিকাশ খান ও রাফিউল খানের কাছ থেকে একই গ্রামের কৃষক বাক্কার আলী, চঞ্চল হোসেন শেখ ও হাফিজুর রহমান পান বরজ বন্ধক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পান চাষ করে আসছেন। হঠাৎ করে গত শুক্রবার ভোরে একই গ্রামের নজরুল ইসলাম খান নজুর ছেলে মনিরুল ইসলাম কমল তার লোকজন নিয়ে জোর করে তিন কৃষকের বরজ নষ্ট করে পান ভেঙে নিয়ে যায়। ওই সময় তিন কৃষক বাধা দিতে গেলে মনিরুল ইসলামসহ তার লোকজন মারমুখী আচারণ করতে থাকে। ওই তিন কৃষক জানিয়েছেন তাদের পান বরজের প্রায় দুই লাখ ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের সংঘর্ষ। পান বরজ ও ধানীসহ ৫২ শত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তালাশ মোহাম্মদ খানসহ ভাইদের সাথে মনিরুল ইসলাম কমলের বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বঠৈকে তালাশ মোহাম্মদ খানের পক্ষে রায় দেন। কিন্তু মনিরুল ইসলাম রায় না মানায় উভয় পক্ষ আদালতে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয়রা জানান, জমিটি বাপ দাদার আমল থেকে তালাশ মোহাম্মদ খানসহ তাদের তিন ভাইয়ের দখলে রয়েছে। কয়েক দিয়ে আগে গোপালপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম খান নজুর ছেলে মনিরুল ইসলাম আদালত থেকে তাদের পক্ষ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এসে গত শুক্রবার ভোরে জমি দখল করার চেষ্টা করে এবং বরজ থেকে জোর পান ভেঙে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম কমলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর বরজ থেকে পান ভেঙেছি। তবে জমির মালিক তালাশ মোহাম্মদ খান বলেন, মনিরুল ইসলাম কমলের পক্ষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করা হয়েছে। তারপরেও মনিরুল ইসলাম কমল তার লোকজন নিয়ে জোর বরজ থেকে পান ভেঙে নিয়ে গিয়েছে। বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের সাথে মারমুখী আচারণ করতে থাকে। মৌগাছি ইউনিয়ন বিট পুলিশের দায়িত্বরত মোহনপুর থানার এসআই আখতারুল ইসলাম আখতার জানান, ওই জমি নিয়ে তালাশ মোহাম্মদ খান ও মনিরুল ইসলাম কমলের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তবে জমিটি তালাশ মোহাম্মদ খানের দখলে রয়েছে। আমার জানামতে ওই গ্রামের তিন কৃষক তালাশ মোহাম্মদ খানসহ তাদের ভাইদের কাছ থেকে পান বরজ বন্ধক নিয়ে পান চাষ করেছেন। পান ভেঙে নেওয়ার কথা আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।