খুলনার পাইকগাছায় হাতকড়াসহ আসামি পালানোর ঘটনায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাসির উদ্দীনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নাসির উদ্দীনকে প্রত্যাহার করে খুলনা পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম। থানার পুলিশ বলছে, গত রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় উপজেলার বিরাশী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলামকে (৪০) সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেন এএসআই নাসির উদ্দীন। তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ ভ্যানে করে থানায় নিয়ে আসার সময় পৌর সদরের পোস্ট অফিস মোড়ে পুলিশকে আহত করে হাতকড়াসহ পালিয়ে যান মনিরুল। পরে ওই রাতেই সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ড বাতিখালীর ওয়াপদা রাস্তার ওপর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুনরায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য মাদক কারবারীদের কাছে আতঙ্কের আর এক নাম এএসআই নাসির উদ্দীন। ১৬ জুলাই রোববার অনাকাঙ্খিত ঘটনায় কর্মঠ এই পুলিশ অফিসারকে ক্লোজড করায় সকলেই হতবাক হয়েছে। সাধারনের মানুষের দাবী মাদকমুক্ত করতে এমন অফিসারকে পাইকগাছায় প্রয়োজন রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরে নিকট সচেতন এলাকাবাসী দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পাইকগাছাকে মাদক নির্মূলে তাকে আবারো পাইকগাছাতে পূর্ণবহাল করার জন্য। পাইকগাছা থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ডাকাতি মামলার আসামি মনিরুল হাতকড়াসহ পালিয়ে যান। পরে ওই আসামিকে অন্যএক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ ঘটনায় খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ সাইদুর রহমানের এক বার্তায় এএসআই নাসির উদ্দীনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে নেওয়া হয়েছে।