খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি অনুন্নত দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। আশ্রয়হীনদের দিয়েছেন মাথা গোঁজার ঠাই। তিনি তার দক্ষ নেতৃত্বে দেশকে নিয়ে গেছেন উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে। উন্নত বিশ্বের যেসব দেশ একসময় এই দেশকে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতো এখন তারা বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ আসলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ, যার বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০০৯ সালে। এর ফলে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। অনেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর কারনেই ফ্রিল্যান্সিং ও ই-কমার্স এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর এখন তিনি স্মার্ট দেশ গড়ার পথে হাঁটছেন। এ ছাড়া দেশ ডিজিটালে রূপন্তরিত হওয়ায় সাংবাদিকদেরও পেশাগত মান্নোয়ন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ এমন কোনো খাত নেই, যেখানে পরিকল্পিত উদ্যোগ ও কার্যক্রমের বাস্তবায়ন করেননি। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও বিকাশে গৃৃহীত নানা উদ্যোগ ও কার্যক্রমের দিকে তাকালে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই রচিত হয় একটি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের ভিত্তি, যা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বিপ্লবে অংশগ্রহণের পথ দেখায়।
এমপি সালাম মুর্শেদী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণেই আজ আপনারা সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলে জাতির কাছে প্রকাশ করতে পারছেন। এজন্য আমি আহবান করবো, দেশের স্বার্থে জাতির স্বার্থে উন্নয়নের স্বার্থে আপনারা আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা জাতীর সামনে তুলে ধরুন। কেননা সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। যার মাধ্যমে দেশ রাষ্ট্র তথা সমাজ উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখা সম্ভব। তাই উন্নয়ন সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে রূপসা প্রেসক্লাবের বারান্দা নির্মাণ এর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসবকথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন বাদশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, সাবেক সদস্য আঃ মজিদ ফকির ও মোতালেব হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপসা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম মাহবুবুর রহমান।
ক্লাবের সাবেক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী বিষ্ণুর সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম হাবিব, দপ্তর সম্পাদক আকতার ফারুক, রূপসা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আঃ কাদের, সাধারণ সম্পাদক খান আঃ জব্বার শিবলী, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান মিজানুর রহমান, সহ- সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিম, কোষাধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম কচি, সদস্য আল মাহমুদ প্রিন্স, হামিদুল হক, চিত্ত রঞ্জন সেন, গোলাম মোস্তফা, আবু হারুনার রশিদ, আখতার খান, বেনজীর হোসেন, মোঃ শাহরিয়ার হোসেন মানিক, আসিকুর রহমান বাবু, নাঈমুজ্জামান শরীফ, ইউপি সদস্য রিনা পারভীন, মোঃ ফরিদ উদ্দীন, সামছুল আলম বাবু, আলমগীর হোসেন শ্রাবন, রাবেয়া সুলতানা, মোঃ ফরিদ শেখ, যুবলীগনেতা শফিকুর রহমান ইমন, তারেক আজিজ, হীরা বেগম, জেসমিন আক্তার প্রমুখ।