রাজশাহীর-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের রাজনীতির মাঠ এখনো ফারুক চৌধুরীর দখলেই রয়েছে। ফলে আবারো তিনিই পাঁচ্ছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ'লীগ দলীয় মনোনয়ন। কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড থেকে ফারুক চৌধুরীকে এমন গ্রীন সিগনাল দিয়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
আ'লীগের রাজনীতিতে তানোর গোদাগাড়ীতে ফারুক চৌধুরীর সাথে মনোনয়ন দৌড়ে প্রতিযোগীতা করার মত (হেবিওয়েট) শক্ত কোন প্রার্থী মাঠে নেই। হাই কমান্ড থেকে রাজনীতির মাঠে বিভিন্ন ভাবে জরিপের পর ফারুক চৌধুরীকে এমন গ্রীন সিগনাল দেয়া হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় তানোর গোদাগাড়ী সকল ইউনিটের আ' লীগসহ সহযোগী সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মিদেরকে শক্তিশালী হয়ে নির্বাচনী মাঠে ভোট যুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করছেন তিনি।
অপর দিকে রাজনীতি মাঠ থেকে ছিটকে পড়া বেশ কয়েক জনের নাম মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে শোনা গেলেও মাঠ পর্যায়ে তাদের কারোই কোন অস্তিত্ত নেই।
এদের অনেকেই বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তারা ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এরা কেউই নিজের অবস্থান শক্ত করতে পাররননি। একই সাথে সবাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এলাকার বাইরে অবস্থান করেন।
অপর দিকে ২২ বছর ধরে এখনো মাঠে রয়েছেন বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাহাড়ী) আসনটি ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত। এই আসনে পরপর ৩ বার (৩ ট্রাম) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক চৌধুরী। আ' লীগের রাজনীতিতে এখনো মাঠ পর্যায়ে সবার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। প্রায় ২২ বছর ধরে তানোর গোদাগাড়ী মাঠে ময়দানে রয়েছেন জনতার সাথে।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই কয়েক জনই মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ব্যর্থ হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচনেই নৌকার বিরোধিতা করে নৌকা পুটো করতে লীপ্ত ছিলেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে তারাই মনোনয়ন প্রত্যাশা করে বগি আওয়াজ দিচ্ছেন। অথচ মাঠ পর্যায়ে তাদের কারো কোন ধরনের কর্মকাণ্ড নেই।
এদের মধ্যে রয়েছেন তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২বার আ'লীগ দলীয় নৌকার মনোনয়ন পেয়ে পরাজিত হওয়া মুন্ডমালা পৌর সভার সাবেক মেয়র তানোর উপজেলা আ' লীগ সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী। দীর্ঘিদন ধরে মাঠে তার কোন কার্যক্রম নাই। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি ঢাকাসহ রাজশাহীতে অবস্থাস করেন। মাঠে তাকে দেয়া যায় না।
গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ'লীগ দলীয় নৌকার পরাজিত প্রার্থী আসাদুজ্জামান তাকে কোনদিনও মাঠে রাজনীতির কোন কর্মকাণ্ড দেখা না গেলেও এলাকায় বিভিন্ন দিবসে ব্যানার ফেষ্টুন দেখা যায়।
অপর দিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সাবেক স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ডালিয়া মাঝে মাঝে এলাতায় এসে লাড্ডু বিতরণ করে চলে যান। তার সাথেও স্থানীয় নেতা-কর্মি নাই। মাঠ পর্যায়ে তারও কোন কার্যক্রম নেই। এই আসনে বিএনপিসহ অন্য দলের প্রার্থীর সাথে নির্বাচনী মাঠে ভোটের লড়াইয়ে আ' লীগের একমাত্র ভরসা ফারুক চৌধুরী।
এই তিনজনের নাম শোনা গেলেও তারা এলাকায় থাকেন না, মাঠেও তাদের কোন অবস্থান নেই, জনবিচ্ছিন্ন অবস্থায় তারা বগি আওয়াজ দিয়ে মাঠে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এই আসনে আ' লীগের রাজনীতিতে মনোনয়ন দৌড়ে কোনদিক থেকেই ফারুক চৌধুরীর সাথে প্রতিযোগীতা করার মত শক্তিশালী ও হেবিওয়েট কোন প্রার্থী মাঠে না থাকায় ফারুক চৌধুরীর মনোনয়ন চুড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কর্মকাণ্ড ও মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মি সমর্থকসহ জনসাধারনের কাছে গ্রহন যোগ্যতার বিষয়ে হাই কমান্ডের কাছে এখনো সবার শীর্ষে রয়েছেন বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। ফলে এবারো মনোনয়ন পাঁচ্ছেন বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।