রাজশাহীর তানোর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী পদধারী ফিরোজ আকতার নাজিরের চেয়ারে বসে আদায় করছেন অতিরিক্ত খাস কালেকশন। এতে নিরুপাই ভূক্তভোগী প্রশান্ত হালদার ১৪ জুলাই রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্তের জন্য এডিসি (রাজস্ব) কে দায়িত্ব দেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার মোহনপুর উপজেলার মেলান্দি গ্রামের প্রশান্ত হালদার তিনি বর্তমান মৌসুমে খাস কালেকশানে পুকুর নেয়ার জন্য ৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তানোর উপজেলা ভূমি অফিসে যান। সেখানে গিয়ে খাস কালেকশন লিজের জন্য বলা হলে সেখানকার নাজিরের চেয়ারে বসা ফিরোজ আকতার তাকে জানান, খাস কালেকশন প্রতি শতকে ৩০০ টাকা করে দিতে হবে। তার জানা মতে খাস কালেকশন শতক প্রতি ১০৫ টাকার বেশি নয়।
বিষয়টি তিনি পাশের রুমে তানোর সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে জানাতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ফিরোজ আকতার। পরে রাগান্বিত হয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে নিজের রুমের দিকে নিয়ে যান। সেখানে প্রশান্ত কুমারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন ফিরোজ আকতার। শুধু তাই নয়, তাকে জেলে পাঠানোর হুমকিও পর্যন্ত দেয়া হয়।
প্রশান্ত কুমার জানান, আমি ফিরোজের দ্বারা ওই ভাবে লাঞ্ছনার শিকারের সময় ভূমি অফিসে উপস্থিত অনেকেই তা দেখেন ও জানেন। বিষয়টি নিয়ে আমি অভিযোগ করেছি। পরে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ফিরোজ আকতার নাজিরের চেয়ার সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে বসেন। কিন্তু ওই অফিসে নাজির কাম ক্যাশিয়ার পদে রয়েছেন মো. সাদিল ইসলাম। গত ৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলে প্রমান পাওয়া যাবে। ফিরোজ আকতার তাকে কি পরিমানে লাঞ্ছিত করেছেন তা অফিসের ভিডিও ফুটেজে পাওয়া যাবে।
প্রশান্ত কুমার আরও বলেন, আমি সেবা প্রার্থনাকারী একজন মানুষ। আমি সরকারি অফিসে সেবা গ্রহনের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু ফিরোজ আকতার একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে কিভাবে আমাকে তার অফিসে লাঞ্ছিত করেন, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি এ বিষয়ে তদন্ত করে ফিরোজের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অবেদন করেছি।
এবিষয়ে তানোর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী পদধারী ফিরোজ আকতার বলেন, খাস কালেকশনের বিষয়টি উপজেলা ভূমি অফিস দেখেন না। এটা তহসিল অফিস দেখেন বলে এড়িয়ে গেছেন নাজিরের চেয়ারে বসা সার্টিফিকেট সহকারী পদধারী ফিরোজ আকতার।
এব্যাপারে উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) আবিদা সিফাতের সরকারি মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ হয়নি।