ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। চলতি মাসে ১২ জন ডেঙ্গু আকান্ত রোগিদের চিকিৎসা দিয়েছেন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে কালীগঞ্জ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ বলেন, আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা হাসপাতালে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পৃথক শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পৌরসভা প্রস্তুতি নিয়ে পৌর মেয়র আশরাফুল আলম জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পৌর এলাকায় মাইকিং করার পাশাপাশি ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাঁচ্ছে। উপজেলার একমাত্র সরকারি এই হাসপাতালটিতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালের নিয়মিত রোগীর পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য রোগীদের থেকে আলাদা ভাবে তাদেরকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। রোগীরা মশারির মধ্যে অবস্থান করে চিকিৎসা গ্রহন করছেন।
কালীগঞ্জ হাসপাতালে খামারাইল গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে আবদুর রাজ্জাক ১৭ জুলাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। তিনি জানান প্রথমে আমার জ্বর হয়, চোখ লাল হয়ে যায়। জ্বর না কমায় হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করাই। এরপর ডেঙ্গু ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেন চিকিৎসক। বর্তমানে আমি এখানে চিকিৎসাধীন আছি। নলডাঙ্গা গ্রামের আরজু মিয়ার মেয়ে লামিয়া(১০) কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ফয়লা গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে আবু তাহের ও আড়পাড়া গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে জামাল হোসেন বর্তমানে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু রোগি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার কারণে ভর্তি হওয়া অন্যান্ন রোগিরা চিকিৎসা নিতে আতংকগ্রস্থ রয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ নাজমুল ইসলাম জানান, গত কয়েক মাসেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দেশব্যাপী বাড়েছে। এ মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। কালীগঞ্জে এখন পর্যন্ত ১২ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।ইতিমধ্যে অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। সরকার নির্ধারিত ৫০ টাকা ফি জমা দিয়ে ডেঙ্গু রোগ শনাক্তে পরীক্ষা করা হচ্ছে হাসপাতালে। ডেঙ্গু রোগি পরীক্ষা নিরিক্ষা জন্য কিটও পর্যাপ্ত রয়েছে হাসপাতালে।
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেযর আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, প্রতি বছর এ সময়ে ডেঙ্গু প্রকোপ দেখা দেয়। এবার রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটা বেশি। যে কারণে পৌরসভার পক্ষ থেকে মশক নিধনে স্প্রে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে পৌর এলাকায় মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারনা চালানো হবে।