ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইউপি মেম্বার ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক সংস্থা কালীগঞ্জ উপজেলা শাখা। শুক্রবার সকালে কালীগঞ্জ শহরের যশোর মহাসড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন থেকে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
গত ১২ জুলাই দুপুরে নিহতের স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিক মিলে তাকে জবাই করে হত্যা করে। ঘটনার ৬দিন পর মঙ্গলবার ভোর রাতে পুলিশ নিহত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৪৮), মেয়ে সুরাইয়া ইয়াসমিন মিতু (২৩) ও মেয়ের প্রেমিক সাজ্জাদ হোসেন (২৫) কে গ্রেপ্তার করে। প্রেমিক সাজ্জাদ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ও পাশর্^বর্তী পাচকাহুনিয়া গ্রামের আবদুল সাত্তারের ছেলে। মেয়ের সঙ্গে পাশর্^বর্তী গ্রামের ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় মা-মেয়ে ও প্রেমিক মিলে পরিকল্পিত ভাবে তাকে খুন করে বলে গ্রেপ্তারের পর স্বীকার করে।
নিহত আনোয়ার হোসেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা মালিয়াট ইনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি মেম্বার ছিলেন। সে মালিয়াট গ্রামের আবদুল বারেক মন্ডলের ছেলে এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা।
গত ১২ জুলাই বুধবার দুপুরে কালীগঞ্জে গলা কেটে আনোয়ার হোসেন নামে এক ইউপি মেম্বারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর পুলিশ, পরিবার ও প্রতিবেশিরা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেওয়ায় ধ্ুম্র্যজালের সৃষ্টি হয়। সংবাদ পেয়ে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে, ঘটনার দিন প্রতিবেশিরা জানিয়েছিলেন, তার পরিবারের সদস্যরা তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ঘটনা ভিন্নখাতে সাজিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার করছে।