বগুড়ার শেরপুরের মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের কর্মসৃজনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ১৩ জুলাই বগুড়া জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আবু সাঈদ, জাফর ইকবাল ও আহসান হাবিব রুবেল নামের তিন দিনমজুর।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের হতদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় ৪০ দিনে কর্মসৃজনের কাজে যুক্ত ছিলেন বীরগ্রাম গ্রামের মো. চাঁনের ছেলে আবু সাইদ, মাথাইল চাপড় গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে জাফর ইকবাল ও শংকরহাটা গ্রামের শমসের আলীর ছেলে আহসান হাবিব রুবেল। ৪০ দিন কাজ করার পর তাদের বিকাশ নাম্বারে আজঅব্দি কোন টাকা না আসায় স্থানীয় স্ব স্ব ইউপি সদস্য কে বিষয়টি জানায়। ইউপি সদস্যরা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারে যে তাদের বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করে সেই টাকা উত্তোলন করেছে। পরবর্তীতে আবু সাঈদ সহ বাকিরা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলামের সাথে দেখা করলে তিনি তাদের নাম তালিকাতে নেই বলে জানান। তাদের রেশারেশির একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাদের ১ হাজার টাকা দিতে চায়। সেই টাকা না নিলে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। এরই একপর্যায়ে গত ১৩ জুলাই বগুড়া জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তারা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জাফর ইকবাল বলেন, আমরা ৪০ দিন কাজ করলেও এখনো কোন টাকা পাইনি। এ ব্যাপারে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলামের সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি রাতে সামনা সামনি কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. সানজিদা সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা করা হবে।