রংপুরের পীরগঞ্জে দেনমোহরের টাকা বাড়িয়ে নিতে দুইবার বিয়ে রেজিষ্ট্রিসহ মেয়ের গর্ভের শিশু নষ্ট করে আদালতে মামলা দিয়ে জামাই ও তার পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা চতরা ইউনিয়নের ঘাষিপুর গ্রামে। জানা গেছে, ওই গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে শাহিনুর মিয়া কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখার প্রাক্কাল্যে পাশ্ববর্তী কুয়াতপুর হামিদপুর গ্রামের বকুল মিয়ার কন্যা তিশা মনির সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে এরা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। বিগত ২০২২ ইং সালের ২২ মার্চ ২ লাখ টাকা দেনমোহর করে কাবিননামা সম্পন্ন করে মেয়ের পরিবার। পরবর্তীতে ২৬ মার্চ বর কনে চতরা হাটের জামাকাপড় কিনতে গেলে কনে তিশা মনির পিতা বকুল মিয়া নাদন পাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান এর দোকানে জোরপূর্বক নতুন করে ৬ লাখ টাকা কাবিননামায় আরও একটি রেজিষ্ট্রি করে। ১১/০৮/২০২২ ইং তারিখে পীরগঞ্জের চতরাসহ মর্ডাণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আলট্রা স্নো রিপোর্ট অনুযায়ী তিশা মনি ৫ মাসের অন্তসত্তা মর্মে উল্লেখ করা হয়। অই দিনই মেয়ের বাবা মা ও ২০ জন আত্মীয়সহ শাহীনুরের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে মেয়ে জামাইকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পরদিন জামাই শাহীনুরকে তার শ্বশুর শাবআশুড়ী বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর একাধিকবার ছেলে পরিবারের লোকজন তিশা মনিকে আনতে গেলে তাদেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। ঘাষিপুর গ্রামের লোকজন জানায়, শহিনুর ইসলামের বাবা এন্তাজ আলী অশিক্ষিত এবং সহজসরল প্রকৃতির। মাত্র ৪ শতক নানার জমির উপর তার বাড়ি। রিক্সা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। মেয়ের বাবা বকুল মিয়া জোরপূর্বক দুইবার বিয়ে রেজিস্ট্রার করে। বাড়ি-ঘর বিক্রি করে দিলেও দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করতে পারবে না ছেলের পরিবার। এটা এন্তাজ আলীর প্রতি জুলুম করা হয়েছে। তাছাড়া মেয়ে পরিবারের লোকজন মামলাবাজ প্রকৃতির। ছেলের বাবা এন্তাজ আলী জানান, দেনমোহর যতবেশিই হোক না কেন আমরা তো ছেলের বউকে নিয়ে সংসার করবো। বারবার ছেলের বউ আনতে গেলেও তারা ফিরিয়ে দিয়েছে। মেয়ের বাবা দেনমোহরের টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে রংপুর আদালতে পৃথক দুটি মামলা দিয়েছে। তাছাড়াও মেয়ের সংসার নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ছেলের বউ এর ৫ মাসের গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট করেছে। তাছাড়া ছেলে পরিবার স্থানীয় মাতবর ও প্রভাবশালীদের কাছে বারবার ধর্না দিয়েও কোন ফল পাচ্ছেন না। তাই তারা আদালতের কাছে সঠিক বিচার দাবি করেছেন। এদিকে মেয়ে পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ওখানে মেয়ের সংসার করাবো না, তাই আমরা আদালতের স্মরনাপন্ন হয়েছি।