রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিনের আমরাইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের একই পরিবারের ৬ সদস্যকে খাবারের সঙ্গে চেতনা নাশক মিশিয়ে অজ্ঞান করে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে মোহনপুর থানা ওসি হরিদাস মন্ডল, তদন্ত (ওসি) মিজানুর রহমান, এসআই আবু জাহিদ শেখ সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। শনিবার দিবাগত রাতে ইয়াদ আলীর ইয়াদ আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতের খাবারে কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা কৌশলে খাবারের মধ্যে চেতনা নাশক ওষুধ মেশান বা স্প্রে করে। পরে ওই খাবার খেয়ে পরিবারের ইয়াদ আলী (৭০) মাজেদা বেগম (৬৫), মোফাজ্জল (৩৫), লাভলী (৩০), নাজনীন (১৫) আবদুল্লা (৭) অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর গভীর রাতে কাঠের জানালা ভেঙ্গে বাসায় ঢুকে দুর্বৃত্তরা নগদ টাকা, স্বর্ণ ও রুপার অংকার চুরি করে নিয়ে যায়। ফজরের আযানের পর ইয়াদ আলীর ছেলে মোফাজ্জল ঘুম থেকে ওঠে নামাযের জন্য সবাইকে উঠতে বলে। তার ডাকে কেউ সাড়া না দিলে মোফাজ্জল দেখতে পান বাড়ির সবাই অচেতন। পরে মোফাজ্জল প্রতিবেশী ও বোন জামাই জিয়াউলের সহায়তায় অজ্ঞান অবস্থায় দুই জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোহনপুরে ভর্তি করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াদ আলী ও তার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) স্থানান্তর করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, তারা অচেতন থাকা অবস্থায় নগদ দুই হাজার ছয়'শ টাকা, স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, রুলি বালা, রুপার তৈরী চার ভরি ওজনের পায়ের নুপুরসহ প্রায় লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মন্ডল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।