ভারতের পশ্চিমবঙ্গ শিলিগুড়ি ফুলবাড়ি এলাকায় ব্যবসায়ীদের মাঝে অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের কারণে প্রায় ১৪ দিন বন্ধের পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানী-রপ্তানী পুনরায় চালু হয়েছে। জানা যায় গত ১১ জুলাই থেকে ফুলবাড়ি সীমান্তের ভারতে ভুটানের পাথর ব্যবসায়ী ও ফুলবাড়ি ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে অভ্যান্তরীন দ্বন্দ্বের কারণে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কোন মালবাগী গাড়ী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইয়ার্ডে আসেনি এবং বাংলাদেশ থেকে কোন মালবাহী গাড়ী ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে কোন আমদানী-রপ্তানী হয়নি। দীর্ঘ ১৪ দিন কোন আমদানি রপ্তানীর কোন মালবাহী গাড়ী প্রবেশ না করায় এখন শুণ্যতা বিরাজ করছিল। গতকাল ২৩ জুলাই সকাল থেকে পুরোদমে পুনরায় ভারত-বাংলাদেশের সংগে এবন্দর দিয়ে আমদানী-রপ্তানী চালু হয়েছে। এরআগে ২২ জুলাই ভালতের ফুলবাড়িতে পাথর ব্যবসায়ী ও ফুলবাড়ি ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। এদিকে ভারত থেকে পাথর বোঝাই ট্রাক বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ঢুকলেও ভুটানের কোন পাথর বোঝাই ট্রাক আসতে দেখা যায়নি। দীর্ঘদিন বন্দরের আমদানি রপ্তানী বন্ধ থাকার পর পুনরায় চাুল হওয়ায় বন্দরে ব্যবসায়ী সিএনএফ ও কর্মমুখী শ্রমিকদের চাঞ্চল্য ফিরেছে।
উল্লেখ্য যে, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানায়, ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর ট্রাক ওনার্স সমিতি আগে ভুটানের পাথর বোঝাই ট্রাকে শুধু মাত্র রুট টেক্স নিচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে পণ্য পারাপার চার্জ ফি বাবদ ভুটানের পাথর বোঝাই দশ চাকার ট্রাকে ৫ হাজার এবং ছয় চাকার ট্রাকে ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত চাঁদা দাবি ভারতের ফুলবাড়ি বন্দরে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে ভারতীয় ট্রাকগুলোতে এ হারে টাকা আদায় না করায় ফুলবাড়ি স্থলবন্দর ট্রাক অনার্স সমিতির সঙ্গে ব্যবসায়ীরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। যে কারণে ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর ব্যবসায়ীরা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বন্দর দিয়ে কোন প্রকার আমদানি রপ্তানি বন্ধ ছিল।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলন জানান, ফুলবাড়ি ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ভারত-ভুটানের ব্যাবসায়ীদের মালামাল পারাপারে চার্জ ফি নিয়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ ছিল। গত ২২ জুলাই বিকালে ভারতের ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার পরপর কয়েকটি ট্রাক মালামাল নিয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ঢুকেছে। তবে ভুটানের কোন ট্রাক মালামাল নিয়ে আসেনি। রোববার সকাল থেকে পুরোদমে বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।