রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আদিবাসী নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার ভোরে নিজের শয়নকক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের বাবা। নিহত ওই নারীর নাম সুমী কেরকাটা (১৯)। তিনি উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের দীপল টপ্যের (২৮) স্ত্রী।
মামলা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের মমিনপুর (আবাসন প্রকল্প) বাবলু কেরকাটার মেয়ে সুমী কেরকাটার সাথে কয়েক মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল মমিনপুর গ্রামের লেদা টপ্যের ছেলে দীপল টপ্যের। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানাভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালান সুমীর ওপর। এ নিয়ে বেশ কয়েক বার স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। এরইমধ্যে সুমী কেরকাটা ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। শনিবার রাতের খাবার সেরে স্বামীর সাথে বিছানায় শুয়ে পড়েন সুমী। পরদিন রোববার ভোরে পূর্ব কলহের জেরে সুমীর বুকের ওপর চড়ে মুখে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে দীপল। সকালে প্রতিবেশিরা শয়নকক্ষে মেঝেতে সুমীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পোষ্টমর্টেমে পাঠায়। এ সময় ঘাতক স্বামী দীপলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়া হয়। নিহের বাবা বাবলু কেরকাটা ঘাতক স্বামী দীপল ও শ্বশুরবাড়ির ৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।