খুলনার কয়রা উপজেলার ক্ষিরোল গ্রামে ৮টি পরিবারের দীর্ঘ দিনের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে বাড়ি থেকে বের হতে ব্যাপক দূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে ওই পরিবারগুলোর সদস্যদের। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (২৪ জুলাই) সোমবার বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলে ধরেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আবদুল মাজেদ সরদার। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, বসতভিটা থেকে যাতায়াতের জন্য প্রায় ৩ শতাংশ জমি তাদের প্রতিবেশীর কাছ থেকে উপযুক্ত দামে কিনে নিয়ে সরকারি রাস্তায় ওঠার পথ তৈরী করা হয়। কিন্তু তার কোন রেজিষ্ট্রি অনুমোদন নেওয়া হয় নাই। তবে জমির প্রকৃত মালিক জীবিত থাকাকালিন কোন প্রতিবন্ধকতা অথবা সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। দীর্ঘ বছর ধরে তারা সে পথেই বাড়ি থেকে যাতায়াত করে আসছিলেন। জমির মালিক মারা যাওয়ার পর সম্প্রতি তার ওয়ারিশরা পথের ওই জমি তাদের বলে দাবী করে সেখানে বাঁশের ঘেরা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। যে কারণে সেখানকার ৮টি পরিবারের যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টির কোন সমাধান না হলে পরবর্তিতে জমির ওয়ারিশগনের মধ্যে থেকে মুজিবার রহমান নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ওই জমি পুনরায় কিনে তা কোবলা রেজিষ্ট্রি করে নেওয়া হয়। কিন্তু বাকি ওয়ারিশগন প্রভাবশালী হওয়ায় তা মানতে চাইছেন না। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হলে তা চলমান রয়েছে। ভুক্তভোগী আবদুল মাজেদ সরদার আরও জানান, জমি মালিকের ওয়ারিশগনের মধ্যে লুৎফর সানা, রুহুল আমিন সানা, লাল মিয়া ও মনিরুল সানা বর্তমানে তাদের যাতায়াতের পথে ঘেরা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় তার পরিবারের সদস্যরা কেউ প্রতিবেশীদের বাড়ির মধ্যে দিয়ে, কেউ বিল-খাল দিয়ে যাতায়াত করছেন। তবে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন পরিবারের নারী সদস্য ও স্কুলগামী ছেলে-মেয়েরা। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।