নগরীকে পৃথক দুটি ঘটনায় সাংবাদিকসহ তিনজনকে ও জেলার গৌরনদী উপজেলায় রাজনৈতিক বিরোধে একজনকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে বরিশাল শেবাচিম ও একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংবাদ প্রকাশের জেরধরে রোববার দিবাগত রাতে নগরীর রূপাতলী উকিল বাড়ি সড়কে বসে স্থানীয় একটি পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এমআর শুভকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। শুভ সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির জেলার শাখার দপ্তর সম্পাদক। তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড পলাশপুরের বউবাজার এলাকায় বাকি না দেয়ার জেরধরে রোববার দিবাগত রাত নয়টার দিকে ব্যবসায়ীর প্রবাসী ছেলে সাব্বির হোসেন বাপ্পী ও তার মা জাহানারা বেগমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। আহত সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির শামীমের ভিবা ইলেক্ট্রনিক্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্থানীয় শাজাহান খান ও তার ছেলে মিরাজকে বাকিতে মালামাল না দেওয়ায় রোববার দিবাগত রাত নয়টার দিকে শাজাহান ও মিরাজের নেতৃত্বে তাদের ভাড়াটিয়া লোকজনে ব্যবসায়ী শামীমের বাসার সামনে এসে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তাদের প্রতিবাদ করায় শামীমের ছেলে প্রবাসী সাব্বির হোসেন বাপ্পিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। বাপ্পির মা জাহানারা বেগম ছেলে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত ॥ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলার গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা জুয়েল সরদারকে (৪০) পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। মুমূর্ষ অবস্থায় আহত যুবদল নেতাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন (রোববার ) সন্ধ্যার পর কান্ডপাশা গ্রামের নিজবাড়ির সামনে থেকে যুবদল নেতা জুয়েল সরদারকে উঠিয়ে নিয়ে যায় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির মীর, যুবলীগ নেতা স্বজলসহ তাদের ১৫/২০ জন সহযোগিরা। খবর পেয়ে স্ত্রী ও স্বজনরা জুয়েলকে খুঁজতে বের হয়ে বাড়ির সামনের রাস্তার ওপর গুরুত্বর আহত অবস্থায় জুয়েলকে উদ্ধার করে। পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জুয়েলের বরাত দিয়ে ওই ইউনিয়নের এক বিএনপি নেতা বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে জুয়েল সরদারকে বেধম মারধর করে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে চলে যায়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।