গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আমানউল্লাহ দেওয়ান হেনেস্তার শিকার ও পারিবারিক রাস্তা সংস্কার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের বাধার মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সোমবার সকালে ১১ঘটিকায় উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের ততেতৈতলা গ্রামের দেওয়ান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, স্থানীয় বি, এন, পি ক্যাডার লিংকন, লিটন এর নেতৃত্বে আমান উল্লাহ দেওয়ানকে হেনেস্তা ও নিজস্ব রাস্তা সংস্কার কাজে বাঁধা প্রদান করে।
সরেজমিন দেখা যায়, রাস্থা সংস্কার কাজ করার সময় বিএনপি'র ক্যাডারদের ভাঙার চিত্র। ভুক্তভোগী আমানউল্লাহ দেওয়ান জানান জনস্বার্থে ১৯৯৭ইং সালে ব্যাক্তি উদ্যোগে রাস্তাটি নির্মান করি, রাস্থাটি আমার নিজের অর্থায়নে হলেও সকলের জন্য উমুক্ত ছিল, রাস্থাটি দিয়ে প্রতিদিন তেতৈতলা গ্রামের দেওয়ান বাড়ি সহ গ্রামের প্রায় ৭/৮ শত কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। দীর্ঘ ২৬ বছর পর রাস্থাটি সংস্কার প্রয়োজন হওয়ায় পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করি।
এবিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ দেওয়ান এর একমাত্র ছেলে, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মিল্টন দেওয়ান কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, আজ সকাল ১১ ঘটিকায় স্থানীয় বিএনপির ক্যডার লিংকন, লিটন মেম্বার, দেলোয়ার, মঞ্জু, আক্তার সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে হামলার করে, এ সময় সংস্কারকৃত রাস্থার নিচের সুয়ারেজ লাইনের পাইপ ভেঙ্গে ফেলে এবং একাধিক বার আমার বাবা, যিনি বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের স্বনামধন্য চেয়ারম্যান ছিলেন তাঁকে মারার জন্য এগিয়ে আসেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে, পুলিশ যথাযথ সময়ে এসে উপস্থিত হন, পুলিশের উপস্থিত টেয় পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত লিংকনকে মুঠোফোন একাধিকবার ফোন করে, বন্ধ থাকায় কোন মতামত পাওয়া যায়নি।
একাধিক গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, অভিযুক্ত'রা বি, এন, পি ক্ষমতায় আসার আগেই একাধিক গ্রামবাসীর সাথে অসদাচরণ করে আসছে, গ্রামের একাধিক মানুষকে মারধর করেছে। তাঁদের অত্যাচার থেকে মুক্তি চায় সাধারণ মানুষ। গজারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা সোহেব আলী জানান এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি, এখানো আভিযোগ পাইনি, পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।