সারাদেশের ন্যায় আমতলীতে এডিস মশার প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। এডিস মশা নিধনে উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় তিনটি ফগার মেশিন রয়েছে। কিন্তু উভয় কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে ফগার মেশিনের কার্যক্রম শুরু করছেন না বলে অভিযোগ সচেতন নাগরিকের। এতে এডিস মশা পৌর শহরসহ প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পরছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে মহামারি আকার ধারন করতে পারে বলে ধারনা করছেন সচেতন নাগরিকরা। এদিকে গত ২৪ দিনে (২৪ জুলাই পর্যন্ত) ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। দ্রুত এডিস মশা নিধনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত কাউনিয়া গ্রামের শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, গত পাঁচদিন ধরে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জ¦র, গ্যাস ও শরীর ব্যাথার ওষুধ দিয়েছেন।পৌর নাগরিক খাইরুল, বেল্লাল ও সজল বলেন, মশার প্রার্দুভাব দেখা দিলেও উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
আমতলী পৌর নাগরিক কমিটির সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন বিশ্বাস বলেন, মশা নিধনে উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ফগার মেশিনের কার্যক্রম শুরু করেনি। দ্রুত শুরু না করলে এডিস মশা শহর ও গ্রামে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরতে পারে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জায়েদুল আলম ইরাম বলেন, গত ২৪ দিনে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত ২১ জন রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, দ্রত ফগার মেশিন দিয়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, মশা নিধনে উপজেলা পরিষদে ছোট একটি ফগার মেশিন রয়েছে। ওই মেশিন দিয়ে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পৌর শহরে মশা নিধনের দায়িত্ব পৌর কর্তৃপক্ষের। তারাই দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।