বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছে সাইফ আলি খানের পুত্র ইব্রাহিম আলি খান ও শ্বেতা তিওয়ারির কন্যা পলক তিওয়ারিকে নিয়ে। প্রেম করছেন এই জুটি। একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া থেকে সিনেমা দেখতে যাওয়া, একসঙ্গে সময় কাটানো। আড়ালেই চলছে দুজনের কথিত সম্পর্ক। মাঝে মধ্যেই পাপারাৎজিদের ক্যামেরার সামনে এসে পড়ছেন দুজনে। ক্যামেরা দেখলেই মুখ লুকাচ্ছেন ইব্রাহিমণ্ডপলক। তবে তাতেও গুঞ্জন থেমে নেই। তবে প্রশ্ন হলো, দুজনের এই সম্পর্ক নিয়ে তাদের পরিবারের মতামত কি? ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, পলকের সঙ্গে ছেলে ইব্রাহিমের প্রেম নিয়ে বিশেষ আপত্তি নেই মা অমৃতা সিংয়ের। আর সাইফ আলি খান তো প্রেমের ব্যাপারে বেশ স্বাধীনচেতা একজন। ছেলেমেয়ের স্বাধীনতা, ইচ্ছা, ভালোলাগায় কোনোদিনই বাধা হয়ে দাঁড়াননি। অর্থাৎ ছেলের পরিবার থেকে কোনো আপত্তি নেই বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে মা হিসেবে অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি বেশ কড়া। মেয়ের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স থেকে শুরু করে বাইরে যাওয়া আসার ব্যাপারে বেশ কড়া নিয়ন্ত্রণ তার। তবে সূত্র বলছে, মেয়ে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই বাঁধনও ক্রমশ আলগা হতে শুরু করেছে। ওইদিকে প্রেমিক যুগলও তৈরি। তাই প্রেম নাকি চলছে চুটিয়ে। শ্বেতা ছোট পর্দার অভিনেত্রী। সাধারণত বলিউডে ছোট পর্দা বনাম বড় পর্দার যে অঘোষিত ঠাণ্ডা লড়াই চলে তাও নাকি কাজ করছে না এ ক্ষেত্রে। সম্প্রতি একসঙ্গে হলিউডের এক নিউ-রিলিজ দেখতে গিয়েছিলেন দুজন। সেখানেও হাজির হয় পাপারাৎজিরা। তবে এবার দেখে মুখ লুকিয়ে ফেলা নয়, বরং দুজনেই পোজ দেন হাসিমুখে। যা তাদের সম্পর্কের বিষয়টি বেশ স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। শিগগিরই মুক্তি পাবে ইব্রাহিম আলি খানের প্রথম চলচ্চিত্র। আর নিজের প্রথম চলচ্চিত্রেই কাজলের মতো অভিনেত্রীকে পাঁচ্ছেন তিনি। অপরদিকে এই বছরেই সালমান খানের ‘কিসি কি ভাই কিসি কি জান’ চলচ্চিত্র দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় পলকের। সিনেমাটি ফ্লপ হলেও নজর কেড়েছিলেন শ্বেতা-কন্যা। মায়ের পেশাই বেছে নিয়েছেন পলক। এগিয়ে নিয়ে যেতে চান নিজের ক্যারিয়ারকে। সূত্র : পিঙ্কভিলা