বাগেরহাটের মোল্লাহাটে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক স্নিগ্ধা আকতারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্টাফ হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সোমবার অত্র শাখার স্টাফদের সাক্ষরিত এক বিবৃতি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য প্রেসক্লাব মোল্লাহাটে প্রদান করা হয়েছে।
উক্ত লিখিত বিবৃতিতে জানা যায়, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক মোল্লাহাট শাখার ব্যবস্থাপক স্নিগ্ধা আকতার সম্প্রতি অত্র শাখায় যোগদান করেই সংশ্লিষ্ট স্টাফদের মাধ্যমে ঋণ প্রতি ৫০০/১০০০ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। এহেন অনৈতিক প্রস্তাবের প্রতিবাদ করায় ইতোমধ্যে মাঠ সহকারীদের মাঝে একজনকে চাকরি থেকে বহিষ্কার ও দুই জনকে বদলী করা হয়েছে। এ ছাড়া ঋণগ্রহীতা জনৈকা পারভীন বেগমের সাথে মাঠ সহকারী সোনিয়া আক্তারের ভুল বুঝাবুঝির সুযোগে গত বৃহস্পতিবার পারভীনকে দিয়ে লিখিত অভিযোগ নেন। এরপর ওই অভিযোগের সপক্ষে অন্যন্য মাঠ-সহকারী/স্টাফদের স্বাক্ষর করতে বলেন। তখন মিথ্যা অভিযোগের সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় উপজেলা শাখা ব্যবস্থাপক স্নিগ্ধা আকতার ভিডিও কলের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা শাখার ব্যবস্থাপক মিহির কান্তিকে দিয়ে চাকরির ভয়ভীতি দেখিয়ে সাক্ষর নেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর পাঠান। এহেন ধারাবাহিক কর্মকা-ে অতীষ্ট হয়ে অত্র শাখার স্টাফরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্যবস্থাপক স্নিগ্ধা আকতারের বিরুদ্ধে লিখিত বিবৃতি দেন।
এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক মোল্লাহাট শাখায় গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপক স্নিগ্ধা আকতারকে না পাওয়ায় জুনিয়র অফিসার দিপা রনী দাশ ও অন্যান্য স্টাফরা জানান, তিনি এখনও আসে নাই, কিছুক্ষণের মধ্যেই আসবেন। উনি দূর থেকে আসেন তাই একটু দেরি হয়।
এছাড়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থাপক স্নিগ্ধা আকতার বলেন, সোনিয়ার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কোথাও পাঠানো হয় নাই। তবে, সোনিয়া ও তার স্বামী দুইজনে পারভীন নামে ঋণগ্রহীতা এক মহিলাকে মারধর করেছে বলে স্টাফদের মাধ্যমে জেনেছেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ নিজের কানে শুনেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।