“নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ”-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বগুড়ার শেরপুরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে একটি র্যালী উপজেলা চত্বর প্রদক্ষিণ করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহজামাল সিরাজি। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেরপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সাংবাদিক সাইফুল বারি ডাবলু, কৃষক লীগের বগুড়া জেলার সহ-সভাপতি এসএম আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওবায়দুর রহমান, মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাহিদুল ইসলাম, আলাল গ্রুপের কর্মকর্তা মৌসুমী রহমান,উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ নেতা মিঠুন হাসান মিঠু, মৎস্যচাষী রতন সরকার, মঙ্গা চন্দ্র সরকার প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী চাহিদার চেয়েও বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে। এসব ব্যাক্তির উদ্যোগে পুকুরে চাষ করে উৎপাদিত মাছ স্থানীয় অর্থনীতিতে জোড়াল ভূমিকা রাখছে। কিন্তু অন্যদিকে মুক্ত জলাশয়ে নদী, নালা, খাল ও বিলে মাছের প্রজনন ও বিস্তার প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এর কারণ হিসেবে তারা খাল ও বিল সংস্কারের উদ্যোগহীনতা ও দখল হয়ে যাওয়াকে দায়ী করেছেন। এছাড়াও শেরপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া ও বাঙালী নদী। এই নদীগুলোও এখন মৃতপ্রায়। এ ছাড়া স্থানীয় এসআর কেমিক্যাল ইন্ডস্ট্রিজ ও মজুমদার প্রডাক্টস লিমিটেড নামক দুইটি শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নদী দুটিতে ফেলা হয়। এর ফলে নদীগুলোতে কোন মাছ নেই, নেই কোন জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী। এমনকি পানিও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে বারবার কথা বলা হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে নদীর উপকূলে বসবাসরত মৎস্যজীবিরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আলোচনা শেষে মির্জাপুর ইউনিয়নের রতন সরকারকে উপজেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষী ঘোষনা করা হয়। এর পরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে শেরপুর উপজেলার সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকার মৎস্যজীবি, চাষী, মৎস্য খাদ্য উৎপাদক ও পরিবেশক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।