বেনাপোল, বান্দরবোন ও কুড়িগ্রামের মতো শেরপুর জেলায় ও বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা সম্ভব অত্যন্ত মূল্যবান সুগন্ধি মসলা এলাচ। অধিক লাভজনক এবং ভবিষ্যৎ সম্ভবনায় মসলা চাষ করে লাভবান হতে পারে শেরপুরের কৃষকরা। শেরপুর জেলার উত্তরে গাড়ো পাহাড় ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ি উপজেলার গাড়ো পাহাড়ে বিপুল পরিমাণে ফরেস্ট খাস জমি পতিত পড়ে থাকে। এসব পতিত জমিতে চাষ করা যেতে পারে এই বিরাট অর্থকারী ফসল এলাচের। ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রবীণ ব্যক্তিত্ব শতবর্ষী আলহাজ¦ শরীফ উদ্দিন সরকার, ডাঃ আবদুল বারী ও আলহাজ¦ সরোয়ার্দী দুদু বলেন, শখের বসেও বাড়ির আঙগিনায় যে কেউ এই এলাচ চাষ করে দেখতে পারেন। শেরপুরের বসিন্দা বেসরকারী বাজাজ কোম্পানীর রংপুর বিভাগীয় কর্মকতা আরিফুল রহমান বলেন, তিনি সম্প্রীতি বেনাপোল এলাচ বাগান দেখতে যান। সেখানে গিয়ে দেখে তিনি নিজেও এলাচ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন। সেখানের বাগানে চারার দাম বেশি হলেও ভারত থেকে ৩হাজার ২শত টাকায় ১শতটি চারা সংগ্রহ করা সম্ভব। সেখান থেকে যে কেউ চাষ পদ্ধতি শিখে বাড়ির আঙগিনায় এবং পাহাড়ের বিদেশী গাছের ফাঁকে ফাঁকে এলাচ চারা রোপনে ভালো লাভের মুখ দেখতে পারবেন বলে ঐ কর্মকতা মনে করেন। আরো বলেন, মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বাগানে খরচ করলে এলাচ চাষের লাভবান মুখ দেখতে পাবেন কৃষকরা। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মোঃ ফারুক আল মাসুদ বলেন, বাড়ির আঙগিনায় ও পাহাড়ের পতিত জমিতে এলাচ চাষে সফলতার স¦প্নদুয়ারে পৌছাতে পারে শেরপুর উত্তরের গাড়ো পাহাড়ের কৃষক।