নোয়াখালীর সেনবাগে খাবারে সাথে চেতনা নাশক খাইয়ে অচেতন করে পৃথক ২টি বাড়ীতে চুরির লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা বাসার নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত বুধবার রাতে উপজেলার ৮নং বীজবাগ ইউনিয়নের মধ্যম শ্যামেরগাঁও গ্রামের দানু পন্ডিতবাড়ী ও আশ্রাফ আলী বলি বাড়ীতে। উভয় ঘটনায় ২টি পরিবারের ৮জনকে পাশ্ববর্তি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তারা হচ্ছে ঃ দানু পন্ডিত বাড়ীর হাজী আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী নুর নাহার, আশ্রাফ আলী বলি বাড়ীর মেহের উল্ল্যার স্ত্রী পারুল আক্তার, মেয়ে রীমা আক্তার, নেজাম উদ্দিনের স্ত্রী কুলসুম, জসিম উদ্দিনের মেয়ে সুমি ও ছেলে রেদোয়ান। এ সময় দুবৃত্তরা আবুল কাশেমের ঘরের আলমিরা ভেঙ্গে ব্যবসার নগদ ২লক্ষ টাকা ও প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ও মুল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
পরিবারের বরাত দিয়ে প্রতিবেশি হাবিবুর রহমান ও স্থানীয় মেম্বার আমির হোসেন রিয়াদ জানান, রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ের হাজী আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী নুর নাহার বেগম। কিন্তু সকাল গড়িয়ে বিকেলেও তাদরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পাশ^বর্তি খবির মিয়ার বাড়ীর আবুল হোসেনেরে স্ত্রী রোজিনা বেগম এসে উঁকি দিয়ে তাদের ডাকলে নুর নাহারের একটু চেতনা হয়। এ সময় নুর নাহার রোজিনা বেগম কে ইশারা দিয়ে ঘরে আসার জন্য বলে। এ সময় সে ঘরে প্রবেশ করে তাদের অবস্থা দেখে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের কে উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগের সেববারহাট পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিযে ভর্তি করা। একই রাতে পাশর্^বর্তি দানু পন্ডিত বাড়ীর আবুল কাশেমের ঘরে একই কায়দায় দুর্বৃত্তরা বাসার স্বর্ণালংকার, নগদ ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয় বীজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন কাজল, সেনবাগ থানার এস আই ফারুক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এয়াকুব মামুন, স্থানীয় মেম্বার আমির হোসেন রিয়াদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী জানান, এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি।অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনিী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।