মুন্সীগঞ্জেরে সিরাজদিখানে ফুচকা খেতে যাওয়ার পথে ১২ বছর বয়সী এক শিশু ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষককে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের রথবাড়ি গ্রামে। ধর্ষিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাত ৯ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর জেনানেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে রাত সাড়ে ১১ টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, সন্ধ্যায় ফুচকা কিনতে দোকানে যায় ওই মেয়েটি। পথিমধ্যে মালখানগর ইউনিয়নের কাজিরবাগ গ্রামের স্বপন শেখ এর পালিত ছেলে রাজমিস্ত্রির সহযোগী ফরহাদ (২৩) শিশুটির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে অন্ধকারে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এই ফরহাদ এলাকায় ছিঁচকে চোর ও বখাটে বলে অনেকে জানান। সে চাদপুর জেলার মৃত মনা মিয়ার ছেলে। তার বাবার মৃত্যুর পর তার মা পরে স্বপন শেখের সাথে বিয়ে করার সুবাদে কাজীরবাগ গ্রামে বসবাস করেন ১০/১২ বছর যাবৎ।
মুখ আটকে রাখায় প্রথমে কোনো শব্দ করতে না পারলেও একপর্যায়ে চিৎকার দেয় সে। চিৎকারের শব্দ পেয়ে আসপাশের লোকজন এগিয়ে ধর্ষক ফরহাদকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে প্রথমে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় পরে সদর হাসপাতেল রেফার করা হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেলে পাঠানে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মারুফ রায়হান জানান, শিশুটিকে সাড়ে ৮ টার দিকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ ও অন্যান্য কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে শিশুটি আশঙ্কা মুক্ত নয় বলে জানান এই চিকিৎসক।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, ধর্ষককে আটক করে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। ধর্ষক ফরহাদের বিরুদ্ধে মেয়েটির বড় বোন বাদী হয়ে মামলা করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।