খুলনার পাইকগাছায় কপিলমুনি জাফর আউলিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওঃ আবদুস সাত্তার তার শিক্ষা প্রতিষ্টানের আরবি প্রভাষক মো. আল-আমিনকে এক ঘুষিতে নাক ফাটিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় যে ভুক্ত ভোগি আল-আমিন বেলা ১২টা ২০ মিনিটে মাদ্রাসায় ক্লাস করার সময় অধ্যক্ষ তাকে ডেকে পাঠান। আল-আমিন শিক্ষক রুমে প্রবেশ করতেই দু একটি কথা বলে শিক্ষকদের সামনে চড় কিল মেরে তাকে এক ঘুষিতেই নাক ফাটিয়েছেন। এ সময় আল-আমিনকে পাশে কপিলমুনি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে ডাক্তার না থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। প্রভাষক আল-আমিন বলেন, যে ২০২২ সালের ফ্রেব্রুয়ারীর ১ তারিখে মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছি। সেখান থেকেই অধ্যক্ষ আবদুস সাত্তার ৫০ হাজার টাকা দাবি করে আসছেন। এবং তার মেয়েকে আমার সহিত বিবাহ দিবেন বলে শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রস্তাব দিয়ে ব্যার্থ হয়ে আমার প্রতি সব সময় জুলুম করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমাকে বেপরোয়া মারধর নাক ফাটিয়েছেন। এ ব্যপারে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা চাকরি করতে এসেছি মার খেতে আসেনি। নাম না প্রকাশ করার শর্তে অন্য শিক্ষকরা বলেন, অধ্যক্ষ সাত্তার চাকরি জীবনের শুরুতেই শিক্ষকদের সহিত বেপরোয়া আচারণ করেন। আল-আমিনের ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ আবদুস সাত্তার বলেন, আমার ভুল হয়েছে বিষয়টি এমন হবে বুঝতে পারেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প.প. কর্মকর্তা নিতিশ চন্দ্র গোলদার বলেন, অনেক দেরী হওয়াতে নাকের রক্ত বন্ধ হচ্ছে না ক্ষত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, বিষটি শুনেছি, আগে চিকিৎসা করাতে বলেছি।