কপোতাক্ষ নদের খুলনার পাইকগাছায় রাড়-লী-কাটিপাড়ার প্রায় ৬ কিমি. এলাকায় গড়ে তোলা বনায়ন প্রকল্পের কেয়ারটেকার প্রকল্প এলাকা নিজের রেকর্ডীয় জমি দাবি করে উপকারভোগীদের হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার রাড়-লী কলেজিয়েট থেকে শালিখার ব্রিজ পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদ তীরের প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকায় সামাজিক বনায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন সেখানকার ৪৫জন উপকারভোগী। ২০১৫ সালে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বনবিভাগের সাথে উপকারভোগীদের চুক্তিপূর্বক তারা এ বনায়ন সৃজন করেন। সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের সভাপতি আজগর আলী বলেন, কপোতাক্ষ নদ খননের পর গড়ে উঠা চরভরাটে এলকার প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকায় বনবিভাগের সাথে চুক্তিভিত্তিক তারা নিম, বাবলা, আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করে বনায়ন করেন। যার কেয়ারটেকার হিসেবে তারা স্থানীয় সুন্দর আলীকে নিযুক্ত করেন। তবে সুন্দর আলী প্রায়ই কাউকে না জানিয়ে প্রচুর পরিমাণ গাছ কেটে নেয়। এনিয়ে উপকারভোগীদের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। ঘটনায় বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা পর্যন্ত করতে বাধ্য হন তারা। এসব মামলা সুন্দর জেলও খাটেন। পক্ষান্তরে সুন্দর আলী উপকারভোগীদের বিরুদ্ধে বনায়ণ এলাকা তার রেকর্ডীয় জমির মালিকানা দাবি করে ইতোমধ্যে স্থানীয় রাড়-লি ইউপি চেয়ারম্যান ও থানায় অভিযোগ করেন। যার পরি প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ সার্ভেয়ার দ্বারা মাপ-জরিপ পূর্বক বনায়ন এলাকা সরকারের ভিপি তালিকাভুক্ত জমি বলে প্রতিবেদন দেন। সেক্ষেত্রে আবেদনকারীর রেকর্ডীয় সম্পত্তির সাথে কোন মিল নেই। উপজেলা বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় বলেন, সরকারি চরভরাটি জায়গায় সামাজিক বনায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম উপকারভোগীদের গাছের ডালপালা কর্তন পূর্বক বনায়নের ঘনত্ব কমিয়ে তদস্থলে তালের চারা রোপনের জন্য লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন।