অছাত্র, বিবাহিত ও বয়স্কদের নিয়ে জেলা শহরের পাশ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠণের প্রানপন চেষ্ঠা করছেন প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা। বিষয়টি শুক্রবার সকালে চাউর হলে দীর্ঘদিন থেকে রাজপথে থাকা ওই উপজেলার বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘদিন রাজপথে থাকা ও বর্তমান পদ প্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন আহ্বায়ক কমিটি গঠণ করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ সুযোগে প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা ছাত্রলীগের গঠণতন্ত্র অমান্য করে অছাত্র, বিবাহিত ও বয়স্কদের নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠণ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হবে দাবি করে পদ প্রত্যাশী ওইসব ছাত্রলীগ নেতারা আরও বলেন, উপজেলার রাহুতকাঠী গ্রামের বাসিন্দা ফজলুল হক কাজীর ছেলে কাজী ইয়াসীর আরাফাতের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যানুযায়ী তার জন্মতারিখ ১৯৮৩ সালের ২০ জানুয়ারি। সেমতে বর্তমানে তার বয়স ৪০ বছর। এছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন পূর্বে অন্য সম্প্রদায়ের এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তাকে (কাজী ইয়াসীর আরাফাত) উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক করার জন্য ওই আওয়ামী লীগ নেতা প্রাণপন চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের শুরুতেই চরম বির্তকের পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে রাজপথে থাকা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নিস্কিয় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
তবে বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ একাধিক নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, কমিটি গঠনের ব্যাপারে এখনও কেউ তাদের মতামত নেয়নি। তবে বির্তকিত কাউকে কমিটিতে রাখা হলে সেই কমিটি কেউ মেনে নেবেন না। কারণ এমনিতেই দীর্ঘকাল থেকে বাবুগঞ্জে বিরোধী দলের সংসদ সদস্য। সেখানে দীর্ঘদিন থেকে যারা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে রাজপথে রয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে অছাত্র, বিবাহিত ও বয়স্কদের নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠণ করা হলে সেটি ভাল কিছু বয়ে আনতে পারবেনা।