স্বামীর অত্যাচার চরমে পৌঁছে গেলেও সংসারের স্বপ্নে নীরব ছিলো ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার ছোটধলহরা গ্রামের অসহায় ঋতু খাতুন। বাবা নছিমন চালক মা গৃহীনি, হতদরিদ্র পরিবারটির চোখে এখন শুধুই হাহাকার। হাসপাতালে চিকিৎসা রত অবস্থায় ঋতু ও তার মা চম্পা খাতুন জানান, একই গ্রামের আমার ননদের ছেলে জিল্লুর রহমানের সাথে বিয়ের পর থেকেই চলছে কারণ অকারনে মারপিটসহ লঞ্চনা-গঞ্জনা। গত ১৪ জুলাই গভীর রাতে ঋতুকে হত্যার উদ্দেশ্য বেধড়ক মারপিঠের পর গ্যাসলাইট দিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এখানেই শেষ নয় তাকে চিকিৎসা নিতে বাঁধা দিয়ে বাড়িতে আটকে রাখে পাশুন্ড স্বামী। পরে আমি জানতে পেরে অতি কষ্টে আহত মেয়েকে উদ্ধার করে ১৫ই জুলাই শৈলকূপা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। চিকিৎসার ১২ দিন পার হলেও হাসপাতালে কোন খোঁজ নেয়নি শ্বশুরবাড়ির কেউ। ঋতুর দুই পাজড় পিঠ দুই হাতসহ বিভিন্ন স্থান এখন তকতকে ক্ষতে বিভৎস। প্রতিদিন প্রায় ২/৩ হাজার টাকা ব্যয়ভার বহন করা ঋতৃর বাবার পক্ষে অসম্ভব। ঋতৃর অভিযোগ অত্যাচার মারপিঠের কথা কাউকে বল্লে তাড়িয়ে দেবে সেই ভয়ে প্রথম থেকেই নীরবে ধৈর্য্য ধরে সংসার করে আসছে। কিন্তু অত্যাচারের মাত্রা এরকম বাড়তেই থাকবে এটা সে কল্পনাও করতে পারেনি। পাচ্ছেনা উন্নত চিকিৎসা। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন আমার কাছে কেউ জানায়নি। লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে আমি আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিব।