কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দু'দিন ব্যাপি উপজেলা সাহিত্য মেলা ২০২৩ শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ চত্তরে। বুধবার সকাল ৯.৩০ মিঃ থেকে ১১ টা পর্যন্ত ১ম পর্যায়ে উদ্বোধনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মোঃ আছলাম হোসেন সওদাগর। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোঃ নূরুন্নবী চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যান ও দীপক কুমার শর্মা দেব উপজেলা নির্বাহী অফিসার। প্রধান বক্তা ছিলেন কে এম মেহেদী হাসান সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি। ওই উদ্বোধনী ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মিনহাজুল ইসলাম উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার কুড়িগ্রাম।
দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবন্ধপাঠ ও আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন প্রাবন্ধিক প্রফেসর মোঃ মোজাম্সেল হক সাবেক অধ্যক্ষ রংপুর কারমাইকেল কলেজ ও সাবেক ট্রেজারার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। আলোচক ছিলেন মোঃ আবু যোবায়ের আল মুকুল উপাধ্যক্ষ, উলিপুর সরকারি কলেজ, কুড়িগ্রাম এবং সভাপতিত্ব করেন এস এম আব্রাহাম লিংকন, পিপি কুড়িগ্রাম(একুশে পদকপ্রাপ্ত)।
স্থানীয় কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার, শিল্পী, সাংবাদিক, নাট্যকারদের স্বাক্ষর ছবিসহ আবেদনের মাধ্যমে ফরম পূরন করে উপজেলা প্রশাসন রজনীগন্ধা ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়। আগামীতে যেন সকলের উপস্থিতিতে সাহিত্য মেলা ও বই মেলা অনুষ্ঠান চলতে থাকে।
সাহিত্য মেলায় প্রবন্ধপাঠ ও আলোচনায় ভূরুঙ্গামারী' র ভান্ডারী প্রেসের কথা আলোচনা করেন এস এম আব্রাহাম লিংকন পিপি কুড়িগ্রাম। তিনি বলেন, নদীভাঙ্গন কবলিত ভূরুঙ্গামারীতে ৭০ বছর আগে জয়নাল আবেদীন ভান্ডারী তাঁর প্রেসের মাধ্যমে কবি সাহিত্যিকদের জন্ম দিয়েছিলেন। তারা আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত। যেমন কবি আবদুল হাই শিকদার ভূরুঙ্গামারীতে জন্ম নিয়ে ভান্ডারী প্রেসের বার্তাবহ পত্রিকায় লিখতে লিখতে বরেন্য কবি হয়েছেন। আজ জয়নাল আবেদীন ভান্ডারী নেই। ভান্ডারী প্রেস আছে। ভান্ডারীর ৩য় ছেলে গোলাম মোস্তফা ভান্ডরী বাবার দেয়া প্রেসটি দীর্ঘদিন চালিয়ে ২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী মারা যান। বর্তমানে তার স্ত্রী এবং ছেলে হারুনর রশিদ সে প্রেসটি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। এ অঞ্চলের পুরাতন প্রেসটি জাতীয় জাদুঘরে রেখে ভান্ডারীর ঐতিহ্য সংরক্ষণ করার জন্য এলাকার কবি সাহিত্যিকরা সরকারের নিকট দাবী করেছেন এবং ভান্ডারী প্রেসের স্থলে বর্তমান যুগের একটি প্রেস দান করে ভূরুঙ্গামারীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।