কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বৃহস্পতিবার রাতে এক বিএসএফ সদস্যকে আটক করে বিজিবি। আটক সদস্যের নাম শ্রী সনু কুমার জেটপ। স্থানীয়রা তাকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেয়।তাকে আটকের ৪ঘন্টা পর ভারত-বাংলাদেশ দুদেশের এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে হস্তান্তর করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০০৭ এমপি হতে ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। থানা পুলিশ এবং বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ভারতের বিষখাওয়া-৩১ বিএসএফ ক্যাম্পের ব্যাটালিয়নের সদস্য কনষ্টেবল শ্রী সনু কুমার জেটপ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সোনাহাট স্থলবন্দর সংলগ্ন বিএসসি মোড় এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে সন্দেহ করে আটক করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ঘটনাস্থলে কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সোনাহাট ও বাবুরহাট বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা এসে হাজির হন। তখন আটক ওই বিএসএফ সদস্যকে বিজিবি সদস্যদের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। আটক হওয়ার পর সনু কুমার জেটপ জানান, ভারতের অভ্যন্তরে ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী গ্রামের জনৈকা একজন বিবাহিত নারীর সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃস্পতিবার রাতে মদ্যপান অবস্থায় ওই নারীর সাথে দেখা করতে গেলে তার প্রেমিকার স্বামী ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা টের পেয়ে তাকে ধাওয়া করে। এ সময় জেটপ প্রাণ বাঁচার তাগিদে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন। এ সময় তিনি স্থানীয়দের দ্বারা ধৃত হলে তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের ব্যাপারে বিজিবির নিকট দু:খ প্রকাশ করেন। পরে বিষয়টি সোনাহাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার ও বিএসএফ’র অধীনস্থ সোনাহাট বিএসএফ ক্যাম্পকে অবগত করা হয়। তারা আটককৃত বিএসএফ সদস্যকে ফেরত প্রদান করার জন্য অনুরোধ করেন। এরপরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ সদস্যকে ফেরত প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে.কর্ণেল আবদুল মুত্তাকিম বিএসএফ সদস্য আটকের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, রাতেই দু’দেশের পতাকা বৈঠকে বিএসএফ সদস্যকে ভারতের নিকট হস্তান্তর করা হয়।