জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের আজ ৫২তম জন্মদিন। তার এই জন্ম দিনে আন্তরিক অভিনন্দন ও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং আমরা তার দীর্ঘ দিনের সুস্বাস্থ্য ও সফলতা কামনা করছি। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দম্পতির একমাত্র ছেলে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা দিয়ে আইসিটি খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ইন্টারনেট সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন। পরে ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা মানুষের হাতের নাগালে নিয়ে গেছেন তিনি। তার পরিকল্পনার বাস্তবায়নের মাধ্যমেই আজকে আমারা বাংলাদেশে এই পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে পেরেছি বলেই আমি এখন আপনাদের সাথে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় যুমের মাধ্যমে যুক্ত হতে পেরেছি। মেধাবী জয়ের দীর্ঘ জীবন কামনা করি আমি আশাকরি তিনি আবারও পীরগঞ্জের মাটিতে আসবেন।
গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনগণ জেগেছে দাবি করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, শেখ হাসিনা শত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর এই মহাসমাবেশ রংপুরবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জের। এই মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এতদিন করোনা মহামারির কারণে জনসম্মুখে আসতে না পারলেও এবার রংপুরে আসছেন শান্তি আর উন্নয়নের প্রতীক শেখ হাসিনা।
এসময় আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি বলেন, প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। গত ১৪ বছরে রংপুরসহ পুরো বিভাগে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। ২ আগস্টের মহাসমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন নতুন উন্নয়নের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন এবং আরো উন্নয়ন কাজের ঘোষণা দেবেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল বলেছেন, দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরে আসছেন। এটাই রংপুর অঞ্চলের মানুষের কাছে বড় চমক। তার আগমনকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলের কোটি মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা আর গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই গণজোয়ারই প্রমাণ করে আগামী ২ আগস্ট রংপুর জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, আওয়ামী লীগনেতা শাহিদুল ইসলাম পিন্টু, নুরুল আমিন রাজা, জাহিদুল ইসলাম রুবেল, রাকিবুল ইসলাম নয়নসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুইটি নির্বাচনী জনসভা করেছেন। সাড়ে ৪ বছরের বেশি সময় পর ২ আগস্ট রংপুরে আসছেন। তিনি ওইদিন রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। এর মধ্যদিয়ে রংপুর থেকে দ্বাদশ নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগ পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে আনন্দ মিছিল করে।