খুলনার পাইকগাছায় হরিঢালী ইউনিয়নে নগর শ্রীরামপুর গ্রামে মুন্সিবাড়ি নান্দনিক স্থাপত্যে বায়তুল মামুর জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে মারভেল টাইলস, ঝাড়বাতি সুদৃশ্য মিনার গম্বুজ এবং সময় উপযোগী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মনোরম পরিবেশে তৈরি করা হয়েছে এ দৃষ্টি নন্দন মসজিদ। মসজিদে আগত মুসল্লিদের রাতে যাতায়াতে বিভিন্ন স্থানে এলইডি আলো দ্বারা সুসজ্জিত করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সুন্দরবন উপকূল খুলনার পাইকগাছায় যিনি সর্ব প্রথম পায়ে হেটে চটগ্রামে যেয়ে সেখান থেকে জাহাজে হজে¦ গিয়ে ছিলেন। হাজী কাদের মুন্সির ইসলামি দ্বীনি শিক্ষা বিস্তার ঘটানো ছিলো অসামান্য অবদান। পিছিয়ে পড়া মুসলিম জনগোষ্টিকে শিক্ষার আলোর পথ দেখাতে তৎকালীন সময় দক্ষিণ খুলনায় ইসলামি শিক্ষা বিস্তার ঘটাতে কপিলমুনি জাফর আওলিয়া মাদ্রাসা ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, মক্তব স্কুল তৈরি করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। হাজী আ. কাদের মুন্সির ১৯৭৩ সালে মৃত্যু বরণ করেন। তারই বংশধররা মুন্সিবাড়ি ভিটায় ২০২০সালের মার্চ মাসের কোন এক শুক্রবার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ নান্দনিক মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার আনোয়ার আলদ্বীন বলেন, গ্রামের মসজিদের দূরত্ব বেশী হওয়ায় তারা অনেকেই বাড়িতে নামাজ পড়তে হয়। যে কারণে আমি গ্রামের সকলের কাছে প্রস্তাব আনলে মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দেন। ইসলামি শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য মসজিদের পার্শ্বে গড়ে তোলা হবে কমিউনিটি ক্লিনিক এবং মাদ্রাসা। নগর শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মোসলেম উদ্দীন জোয়ার্দ্দার বলেন, গ্রামের দুই কোনায় দুটি জুম্মা মসজিদ হওয়ায় সবারই সুবিধা হয়েছে। মাওঃ মোশারফ বলেন, শহুরের সুযোগ সুবিধা এখন গ্রামের মসজিদে পাচ্ছি। আ. রাজ্জাক বলেন, কাঁদাপানি ঠেলে দূরে যেতে কষ্ট হয়, ভালই হয়েছে মসজিদটি হয়ে। এ ব্যপারে পাইকগাছা উজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, শুনেছি গ্রামের মধ্যে নান্দনিক স্থাপ্তত্য মসজিদ নির্মিত হয়েছে, দেখার ইচ্ছে রয়েছে। তা ছাড়া গ্রামের ভিতরে সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে শুনে ভাল লেগেছে।