ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ১৩ বছর বয়সের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে সরাইল থানায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় হাফেজ জুবায়ের হোসেন (২৮) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। ওই শিক্ষকের বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার পত্তন (মধ্যপাড়া)। গত শনিবার উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের দাওয়াতুল কোরআন হেফজ মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ, মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাদ্রাসার হাফেজিয়া শাখায় অধ্যায়নরত অনেক ছাত্রের মধ্যে নাসিরনগর উপজেলার ১৩ বছর বয়সি ওই ছাত্রের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে শিক্ষক জুবায়ের হোসেনের। আবাসিক এই ছাত্র অন্যান্য ছাত্র ও শিক্ষকদের সাথে মাদ্রাসার মেঝেতে ঘুমাতো। গত ২৬ জুলাই লেখাপড়া ও খাওয়া শেষ করে রাত আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে ঘুমিয়ে পড়ে ছাত্রটি। অন্য ছাত্ররাও তখন ঘুমে আচ্ছন্ন। হাফেজ জুবায়ের ওই ছাত্রটিকে ডেকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তাঁর হাত মা টিপে ও শরীর ম্যাসেজ করে দিতে বলেন। ওস্তাদের হুকুম তামিল করতে ছাত্র জুবায়েরের হাত পা টিপতে থাকে। শিক্ষক জুবায়ের ছাত্রকে শুয়াইয়া জোরপূর্বক বলৎকার করে (প্রকৃতির নিয়মের বিরূদ্ধে যৌনসঙ্গম)। ওই ছাত্রকে বাহিরে যেতে দেয় না এবং নানা ধনণের ভয়ভীতি দেখায় জুবায়ের। একই কায়দায় ২৭ ও ২৮ জুলাইও ছাত্রটিকে বলৎকার করে। প্রতি শুক্রবার ছাত্রটি বাড়িতে যায়। ২৮ জুলাই বাড়িতে না যাওয়ায় ছাত্রের খোঁজ খবর নিতে মাদ্রাসায় আসেন এক স্বজন। ছাত্রটি জুবায়ের কর্তৃক একাধারে তাকে বলৎকারের পুরো ঘটনা খুলে বলে। পায়ু পথে ব্যাথার কথাও জানায়। পরে ছাত্রের মামা বাদী হয়ে এ ঘটনায় শিক্ষক মো. জুবায়ের হোসেনকে আসামি করে সরাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইনে মামলা করেন। শনিবার দুপুরের দিকে শাহবাজপুর থেকে জুবায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি।