কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নাগেশ্বরী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, নাগেশ্বরী জোনাল অফিসের এনফোর্সমেন্ট (ইসি) কো-অর্ডিনেটর মোক্তারুল ইসলাম। অভিযোগে জানা যায়, নাগেশ্বরী পৌরসভার বালাসিপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাসেল (৩৫), আলম মিয়ার ছেলে আবদুর রশিদ (২৫), সিরাজুল ইসলাম (৬০), শাহানত আলীর ছেলে আলমগির হোসেন মিলে রোববার সকাল ১০ টার দিকে গাছ কাটার জন্য নাগেশ্বরী জোনাল অফিসের সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রতন মিয়ার টেবিলে এসে জোরপূর্বক লাইন বন্ধ করতে বলেন। এতে রতন মিয়া লাইন বন্ধ করতে অফিসের নিয়মানুযায়ী সাদা কাগজে আবেদন করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তারা বিষয়টি না মানলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে মারধরের চেষ্টা চালায়। এ সময় অফিসের সহকর্মীরা থাকায় তাকে মরধর করতে না পেরে বাইরে এসে বিভিন্ন হমকী দিতে থাকে। এবং অফিস থেকে বের হলে তাকে মারধর ও জীবন নাশের হুমকীসহ দেখে নেয়ার হুমকী দেয়। পরে বেলা ১১টার দিকে রতন মিয়া এবং লাইন শ্রমিক আরিফুল ইসলাম মিলন অফিসের দাপ্তরিক কাজের জন্য মোটরসাইকেল যোগে অফিসের গেট থেকে বাইরে এলে তাকে বেদম পেটাতে থাকে। এতে করে রতন মিয়া গুরুতর আহত হলে অফিসের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে চাইলে সেখানেও বাধা প্রদান করেন এবং তাকে নানাভাবে হুমকী প্রদান করেন। পরে নাগেশ্বরী থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাগেশ্বরী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল হালিম বলেন, গাছ কাটার জর্য অভিযুক্তরা এসে লাইন বন্ধ করতে বলেছিলো। কিন্তু রতন অফিসে এজন্য আবেদন দিতে বলে। এতে করে তারা ক্ষেপে গিয়ে এক র্পায়ে তাকে মারধর করে। এরপর পুলিশের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে অফিসের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুর রহমান আশিক বলেন, অভিযাগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।