পূর্ব-রূপসা বাজারে একটি ওষুধের দোকানে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় অজ্ঞাত পরিচয় সংঘবদ্ধ একটি হামলাকারী দল জহিরুল ইসলামের মালিকানাধীন জাহিদ মেডিকেল হলে অনুপ্রবেশ করে পল্লী চিকিৎসক জহিরুলকে বেধোড়ক মারপিঠ ও ভাংচুর করে।
এ-সময় তারা দোকানের ক্যাশবাক্স ভেঙে অষুধ কোম্পানীর বিলের নগদ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পাশবর্তী অষুধ ব্যবসায়ী মনিরের ভাই বাজারের গ্যাস ব্যবসায়ী শামিম উপস্থিত হয়ে তাকে মারতে হুকুম দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
এমনকি কতিপয় অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি তাকে দোকানের পিছনে নিয়ে ঘটনা মিটমাট করে দেবে মর্মে কিছু টাকা চায়। তখন জহিরুল ইসলাম জানায় ঘরে সিসি ক্যামেরা আছে। আপনারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করেন। এই কথা বলার পরপর ওই হামলাকারীরা তার দোকান ঘরের ভিতরের থেকে সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলে হার্ডডিক্সসহ ডিভিআর নিয়ে যায়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে বাসষ্ট্যান্ড পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন ও এএসআই আবদুল হালিমসহ ফোর্স ঘটনাস্থলে আসেন। পরে পুলিশ ও উপস্থিত সাংবাদিকরা অভিযোগকারীর পরিচয় জানতে চাইলে কোন অভিযোগকারী পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাটির সুত্রপাত নারী ঘটিত বলে প্রচার হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি আবার রহস্যজনক বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
পরে ঘটনাস্থলে বাজার বনিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসে প্রতিবাদ জানালে উপস্থিত সকলে যে যার মত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
এই ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক জহিরুলের লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগেও তার দোকানে তিনবার হামলা সংঘটিত হয়।
বর্তমানে তিনি জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মর্মে পরেরদিন ২৯ জুলাই ওষুধ ব্যবসায়ী মনি ও তার ভাই শামিম সহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে রূপসা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম।
অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রূপসা থানার এস আই আনিস।
এব্যাপারে তিনি বলেন এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।