নগরীর কাশিপুরে কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে দ্বন্ধে ছুরিকাঘাতে আহত আরও এক সবজি বিক্রেতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দুইজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।
সোমবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মৃত আলমগীর হোসেনের (৪০) ভাগ্নে শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার একদিন পর রোববার দিবাগত রাত নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মামা আলমগীর হোসেন মৃত্যুবরন করেন। তিনি (আলমগীর) নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের দিয়াপাড়া দিঘির পাড় এলাকার চিনু মাঝির ছেলে ও কাশিপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা ছিলেন।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীরের মৃত্যুবর খবর পেয়ে আগের দায়ের করা হত্যা মামলায় বিষয়টি সংযুক্ত করা হবে। পাশাপাশি বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই সকাল আটটার দিকে কাশিপুর বাজারে কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে ভ্রাম্যমান বিক্রেতা সোহেল রানার সাথে বাজারের অপর বিক্রেতাদের দ্বন্ধ হয়। এ ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ীরা মিলে সোহেল রানাকে মারধর করে। এ সময় তার (সোহেল রানা) সাথে থাকা বস্তা কাটার ছুরি দিয়ে আত্মরক্ষার্থে এলোপাথারী ছুরিকাঘাতে ওইদিনই সবজি বিক্রেতা কামাল হোসেনের (৩৮) মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ছুরিকাঘাতে আরও পাঁচজন আহত হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই এয়ারপোর্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত কামালের স্ত্রী মাহফুজা বেগম। মামলায় ছুরিকাঘাতকারী আটক সোহেল রানাকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তিনি (সোহেল রানা) পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সিংহেরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সোনামুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। দীর্ঘদিন থেকে সোহেল রানা বরিশাল নগরীর ইছাকাঠি সড়কের ভাড়া বাসায় থেকে কাঁচামাল বিক্রি করে আসছিলেন। ছুরিকাঘাতে অপর আহতরা শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।