২০০৪ সালে বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের নৌকা মার্কার প্রার্থী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন তৎকালীন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার নিকট আত্মীয় হওয়ার সুবাধে গত কয়েক বছর পূর্বে তাকে আওয়ামী লীগে যোগদান করানো হয়।
সেই সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদান করা জহিরুল ইসলাম জহিরের বিরুদ্ধে এবার বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের আঞ্চলিক কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন এক যুবলীগ নেতা। সোমবার সকালে গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ফরহাদ হোসেন জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, দলীয় কার্যক্রমকে বেগবান করার লক্ষ্যে নলচিড়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের হাজিপাড়া এলাকায় শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধণ করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রব মৃধাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা।
উদ্বোধনের একদিন পরই রোববার দুপুরে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী ও সাবেক নলচিড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহিরের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতা সুমন ফকির, বিএনপি নেতা লোকমান হোসেন, আবুল কালাম, আলিম, সজিবসহ তাদের ১০/১৫ জন সহযোগিরা প্রকাশ্যে দিবালোকে হামলা চালিয়ে ওই কার্যালয়সহ দলীয় বিলবোর্ড ভাঙচুর করে। অভিযোগ করে জুয়েল আরও বলেন, ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী ও বর্তমান স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এক নাম্বার আসামি জহির ২০১৮ সালে নাটকীয়ভাবে এক নেতার হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করে। এনিয়ে সে (জহির) মোট চারবার আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগে যোগদানের পর থেকেই অদৃশ্য শক্তির ইশারায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করতে জহির বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এরইমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্যর নিষেধ উপেক্ষা করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুশীল করাতীর দিঘী দখলের চেষ্টা চালিয়েও সে (জহির) ব্যর্থ হয়।
আওয়ামী লীগের আঞ্চলিক কার্যালয় ভাঙচুরসহ সকল অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অভিযোগের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের আঞ্চলিক কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়ে এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।