বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পাট কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। বাজারে উটতেও শুরু করেছে নতুন পাট। নতুন পাটের দাম ভালো হলেও, খরচে পোষাতে না পেরে খুশি হতে পারছেন পাট চাষিরা। চরাঞ্চল ও মঙ্গলবার সারিয়াকান্দি পাটের হাট ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি পাট চাষ হয়ে থাকে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের চাষিরা বেশি করে পাটের আবাদ করে থাকেন। প্রতি বছর এই আবাদ করে লাভবান হন চরের চাষিরা ফাল্গুন চৈত্র মাসে পাটের বীজ বপন করে থাকেন। তবে শুরুতেই খড়ার কারণে পাট চাষে ধাক্কা খান চাষিরা। কৃত্রিম উপায়ে পাট চাষ করেছিল এ মৌসুমে। এরপর আবার ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যা না হওয়ায় পাটের ফলন হয়েছে ভালো। এখন শুরু করেছে কর্তন। এরইমধ্যে জমি থেকে থেকে চাষিরা ৫৮ ভাগ পাট কর্তন করা হয়েছে। কিন্তু পাট পচানো বা জাগ দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিরম্বনা। পুকুরে সেচ দিয়ে অনেকেই পাট পচাচ্ছেন এ মৌসুমে। এতে খরচ বাড়ালেও চাষীদের কোনো উপায় থাকছেনা তাতে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চরাঞ্চল অধ্যাশিত এ উপজেলায় এবার ৫ হাজার ৭ শ ১৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিস বলছে, প্রতি হেক্টর জমি থেকে এবার প্রায় ৩ মেট্রিক টন পাট পাওয়া যাচ্ছে। চাষীরা পাট কর্তনের পর বাঁশের বার ছারাও বিভিন্ন সেতুর রেলিং এ পাট শুকানোর ধুম পরেছে। কৃষি অফিস এও বলেছে ওই পরিমান জমি থেকে ১৭ হাজার ১ শ ৪৫ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন হতে পারে। এ পরিমান পাট বাজারে বিক্রি করে ১শ ৭ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা চাষিদের ঘরে উঠবে বলে আশা করছে কর্মকর্তারা। এরইমধ্যে বাজারে নতুন পাট উঠা শুরু হয়েছে। প্রায় ২ সপ্তাহ হলো সারিয়াকান্দি হাট সহ বিভিন্ন হাট বাজারে পাটের রকম ভেদে ২৫ শ থেকে শুরু হয়ে ২৮ শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছের প্রতি মন পাট। পাটের দাম ভালো হলেও তাতে খুশি হতে পারছেন না চাষিরা। বীজ বপন থেকে শুরু করে পাট কাটা ধোঁয়া ও জাগ দেওয়া নিয়ে নতুন সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে চাষিদের। সদর ইউনিয়নের শালুকা চরে পাট চাষি সারিয়াকান্দি হাটে পাট বিক্রির সময় মঙ্গলবার সকালে বলেন, ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। সব মিলিয়ে যে খরচ হয়েছে তাতে খুব একটা লাভ থাকছে না আমার। এ ছাড়া বাটির চরের মোখলেছুর রহমান বলেন, পাট একটা লাভ জনক ফসল, কিন্তু মৌসুম জুড়ে খরার কারণে আমরা খুব বেশি লাভ ঘরে তুলতে পারবো না। বাজারে দাম ভালো আছে পাটের।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল হালিম বলেন, বগুড়ার এ এলাকাটি পাটের জন্য বিখ্যাত। এবার অধিক পরিমান জমিতে পাট চাষ করেছেন এবার। বাজারে দাম ভালো হওয়াই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন চাষিরা।