সম্প্রতি ইন্টারনেট দুনিয়ায় অনৈতিক ভিডিও ক্লিপ সয়লাবে খুলনার পাইকগাছায় অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। গোপণে বা সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে ছেড়ে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসকল ক্ষতিকারক কনটেন্ট নতুন প্রজন্মকে বিপথে চালিত করছে। উপজেলার লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস’র পর এবার পাইকগাছা সরকারি কলেজের ইংরাজী প্রভাষক মাসুদুর রহমান ওরফে মন্টুর আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ নেট দুনিয়ায় তোলপাড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসকল অনৈতিক ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় উঠতি বয়সী তরুণ থেকে শুরু করে বয়স্কদের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে এ বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অভিভাবক মহল বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এ বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ও ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লেও এনিয়ে কাহারও মাথা ব্যথা নেই। একাধিক অপকর্মের নায়ক প্রভাষক মন্টুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা তার পক্ষে কিছু সুবিধাবাদীরা উঠেপড়ে লেগেছে। তার কি বিরূপ প্রভাব পড়েছে ফেসবুকে কমেন্ট দেখে বোঝা যায়। তার একাধিক নগ্ন ভিডিও ফুটেজ, ছবি পর এবার প্রকাশিত হয়েছে ছাত্রীদের পটানো ফেসবুক চ্যাট। প্রভাষক মন্টু এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন ধরনের দেন-দরবার শুরু করেছে। নানা রকম সাফাই দিলেও তা মানতে নারাজ সচেতন মহল। নানা রকম কটূক্তি সহ প্রভাষকের সঙ্গে নাম জড়িয়ে নানা রকম কুমন্তব্য সহিত ফেসবুকে পোস্ট করে চলেছেন নেটপাড়ায়, যাকে ঘিরে তুমুল তুলকালাম সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে কোন আইনগত কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের কলেজে পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এদিকে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি ্িবশ্বাসকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন এবং স্থায়ী বরখাস্তের দাবিতে এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। অপরদিকে, অনৈতিক কর্মকা-ে কলেজ কর্তৃপক্ষ শোনা মাত্রই অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং ডেকে কলেজের সকল কার্যক্রম থেকে প্রভাষক মাসুদুর রহমান মন্টুকে অব্যাহতি দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বোর্ড খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অবগতি করে ডিজি বরাবর সভার সিদ্ধান্ত প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পাইকগাছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল। যারা এধরনের অনৈতিক কাজ করেছে এবং যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে সকলেই সম-অপরাধী। পারিবারিক শিক্ষাবোধ, সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে আজকের এই অবস্থা বলে জানিয়েছেন সুধীজনেরা। বাংলাদেশে বর্তমানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর আওতায় বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অভিভাবক মহল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, সামাজিক অবক্ষয় রোধে রাষ্ট্রের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। পারিবারিক শিক্ষা, মূল্যবোধ, ধর্মীয় অনুশাসনের মাধ্যমে এটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।