বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে বরিশাল বিভাগীয় অফিসে পাসপোর্ট করতে এসে আটক হয়েছেন এক রোহিঙ্গা যুবক। তাকে সহায়তা করার অভিযোগে দুই বাংলাদেশি নাগরিককেও আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক আবু নোমান মো. জাকির হোসেন বলেন, সোমবার দুপুরে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গা যুবক মো. ইসমাইল (১৮) উখিয়া থানার বালুখালী এলাকার মো. ইলিয়াসের ছেলে। তিনি বরিশালের কাজিরহাট থানার শ্যামেরহাট কসবা এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। সেখানে নিজের নাম মো. রাফি ও বাবার নাম ছাদের আলী বেপারী উল্লেখ করেন। তাকে সহায়তা করার অভিযোগে আটককৃতরা হলো-বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাট থানার চরসোনাপুর গ্রামের হাসেম ফকিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৭) ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চান্দুয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ হাওলাদারের ছেলে মো. হোসাইন (২৬)।
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক আরও জানান, ইসমাইল দালাল চক্রের মাধ্যমে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। ওই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে পাসপোর্ট করতে আসেন। অফিসের লোকজন ও কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের বিষয়টি সন্দেহ হলে আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে তিনি মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে হোসাইন নিজের নাম সোহেল বলে জানিয়েছেন। পরে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে মো. হোসাইন পাওয়া গেছে। তাকেও রোহিঙ্গা হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ওই তিনজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেলালউদ্দিন জানান, আটককৃত তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।