ঝিনইগাতী গাড়ো পাহাড়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বেহাল দশা ও স্বাস্থকর্মীদের অনিয়মিত অফিস করায় ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রামীন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। বেশির ভাগ ক্লিনিকগুলোর ভবন জরাজীর্ণ ও বেহাল দশা। ওষুধ সরবরাহ কম এবং কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) বা স্বাস্থ্যকর্মীরা অনিয়মিত অফিস করায় সঙ্কটে রয়েছে গ্রামীণ হতদরিদ্র জনগণ। বেহাল অবস্থা উন্নয়নে কতৃপক্ষ উদাসীন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বেহাল ভবন মেরামতের তালিকা কতৃপক্ষ নিকট পাঠানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে করা হচ্ছে মনিটরিং। ক্লিনিকে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি সেবা দেওয়ার কথা কিন্তু ভবনগুলো বেহাল দশার জন্য বঞ্চিত হচ্ছে এসব সেবায়। শেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ঝিনাইগাতী ৭টি ইউনিয়নে ২৩টি ক্লিনিক রয়েছে। বেশীর ভাগ জরাজীর্ণ ও ছাঁদ থেকে চুয়ে পানি পড়া আবার কোনোটির পলেস্তারা খসে পড়েছে। তাছাড়া ঝিনাইগাতী উপজেলার দীঘির পাড় ও রাঙামাটিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকসহ রাস্তা কাঁচা হওয়ায় বর্ষাকালে সেবা নেওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হয় জনগণ কে। এ প্রসঙ্গে শেরপুর সিভিল সার্জন ডা: অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, জনগণের সেবার জন্যই ক্লিনিক তৈরী করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে মনিটরিং করা হচ্ছে। তবে ভবনগুলোর মেরামত ও ঝুকিপূর্ণ এড়াতে কর্তৃপক্ষ নিকট পাঠানো হয়েছে। ওষুধ সঙ্কট নেই এবং বরাদ্দ বাড়লে বেশী ওষুধ দেওয়া সম্ভব হবে।