কোরবানির ঈদ ঘিরে জুনে তিন বছরের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স দেশে আসার পর জুলাই মাসেই প্রবাসী আয় আগের বছরের চেয়ে কমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার রেমিটেন্সের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, জুলাই মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার, যা গত বছরের জুলাইয়ে আসা রেমিটেন্সের চেয়ে ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম।
গত বছরের জুলাই মাসে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার বৈধপথে দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর এ বছর জুন মাসে দেশে এসেছিল ২২০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স, যা এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
দেশে ডলার সঙ্কটের মধ্যে গতবছরের শেষ দিক থেকে রেমিটেন্সের গতি কমে আসায় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি নিয়েই ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষ হয়।
ওই অর্থবছরে প্রবাসীরা সব মিলিয়ে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি।
রেমিটেন্স বাবদে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। তার আগে অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
ডলার সংকটের মধ্যে রেমিটেন্স বাড়াতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হুন্ডি রোধে প্রবাসী আয় সংগ্রহে বিনিময় হারে সর্বোচ্চ দর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা দাম দিচ্ছে, যা কার্যকর হয়েছে অগাস্টের প্রথম দিন থেকে।
এরসঙ্গে আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার; কাগজপত্রের শর্তও শিথিল করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্যেও প্রবাসী আয় ওঠানামা করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, জুলাই মাসে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৬৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৩ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে।