মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ২৪ ঘন্টায় ৩ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে মোট ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী। সাধারণ রোগীদের সথেই ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
যদিও ডেঙ্গু ছোয়াছে রোগ নয় তারপরেও এখান হতে ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন স্বজনরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানাগেছে, চলতি মাসের ১ তারিখ হতে অদ্য ৩১ জুলাই পর্যান্ত মোট হাসপাতালে ৭২ জন ডেঙ্গু রোগী ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি হয়েছে।
বর্তমান হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৩জন রোগী ভর্তি হয়েছে। ছাড়পত্র নিয়ে গেছে ১জন।
রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, ডেঙ্গু অন্যান্য রোগীদের এক সাথে রাখায় অন্য রোগীদেরও মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। দ্রুত রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড চালুর দাবি জানান তারা।
ডেঙ্গু আক্রান্ত সুমি আক্তার (২৭) বলেন, সাধারণ রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তদের রাখাটা নিরাপদ মনে হয় না। এখানে টয়লেট গুলোতে মশার উপদ্রব। জানালা দিয়েও মশা আসে। পরিস্থিতি এমন যে, এখান থেকেই ডেঙ্গু ছড়াতে পারে।
মাহমুদ হোসেন(৪৩) নামে আরেক ডেঙ্গু রোগী বলেন, জ¦র আসার পরে ডেঙ্গু ধরা পরলে হাসপাতালে ভর্তি হই। ভর্তির পরে একটু ভালো আছি। তবে চিকিৎসা সেবা আরও উন্নত হওয়া দরকার ছিল।’ কামাল হোসেন নামে এক রোগীর স্বজন জানান, হাসপাতালে মশারি দিয়ে ডেঙ্গু রোগীদের রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু যাতে ছড়িয়ে না পরে, সেটা নিয়ে তৎপরতা নেই বললেই চলে।
আরেক রোগীর স্বজন মানিক মিয়া বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে রোগীর শরীরে ব্যথা হয়। তারা ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। এতে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য আলাদা ওয়ার্ড চালু করা দরকার।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুবাশ্বির বিনতে আলম বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চলতি মাসে মোট ৭২জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
এখোন হাসপাতালে মোট ১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা করে ডেগু কর্ণার করেছি। আমারতো আর আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড নেই আর ডেঙ্গু ছোয়াছে রোগওনা তাই সাধারণ রোগীদের ওয়ার্ডেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের আরও সচেতনতার প্রয়োজন।