আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠ বৃষ্টির পানিতে টইটম্বুর ও কর্দমাক্ত থাকায় নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। মাঠে বছরের ছয়-সাত মাস পানি জমে থাকে। ফলে বিদ্যালয়ের মাঠ বর্তমানে ব্যব্হার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা মাঠে নিয়মিত শরীরচর্চাসহ খেলাধুলা করতে পারছে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, বিদ্যালয়ের মাঠে বর্ষার পানিতে থৈথৈ করছে। শিক্ষার্থীরা বারান্দায় খেলাধুলা করছে। এ ছাড়া পশ্চিম খালিয়া সরকাররি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থাকলেও বর্ষার মৌসুমে কাঁদাযুক্ত থাকায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করতে পারে না। অন্যদিকে গজুয়াকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় হাঁটু পানিতে ভাসছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, মাঠে পানি জমে থাকায় তারা খেলাধুলা করতে পারছে না। এতে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ গুলো দ্রুত মাটি ভরাটসহ মাঠ উচুকরনের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া রাউতাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খেলার মাঠ নেই বললেও চলে। অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের একই চিত্র।
খালিয়া সরকারি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, সরকারি বরাদ্দের জন্য আমরা সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করার পরিকল্পনা করেছি। বরাদ্দ পেলে বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাট করা হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান বলেন, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থাকে। আশপাশে নিচু হওয়ায় পানি নিঃষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থীরা শরীরচর্চা মূলক খেলাধুলা করতে পারছে না। খেলার মাঠ ভরাটের জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয়ের মাঠে পানি থাকায় আমরা দুঃচিন্তায় থাকি। চারপাশে পানি থাকে কখন পানি কাঁদায় আমাদের সন্তানেরা পড়ে যায়, সেই ভয়ও কম না। আমরা সকল অভিভাবকরা চাই সরকারী ভাবে বরাদ্দ পেয়ে মাঠ গুলো দ্রুত ভরাট করা হোক।