রাজশাহীর-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যে বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে তানোর উপজেলা আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মি ও সমর্থকরা।
বুধবার সন্ধ্যায় তানোর গোল্লাপাড়া বাজারস্থ্য আ.লীগ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন তানোর উপজেলা আ.লীগ সভাপতি মাঈনুল ইসলাম স্বপন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তানোর উপজেলা আ.লীগ সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার। তিনি বলেন, গত ৩০ জুলাই রোববার গোদাগাড়ী পৌর আ.লীগের সম্মেলনে কমিটি ঘোষনা করার আগেই মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরী মঞ্চ থেকে পৌর সভায় চলে আসেন।
পরে কমিটি ঘোষনা করার সময় পদ বঞ্চিত কিছু আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দু'গ্রুপের নেতা-কর্মি ও সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। অথচ সাংসদ আলহাজ¦ ওমর ফারুক চৌধুরীকে জড়িয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে বিষয়টি ভুল ভাবে উপস্থাপন করে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যে বানোয়াট ভিত্তিহীন উদ্যোশ্য প্রনোদিত বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংসদ ফারুক চৌধুরী নেতা-কর্মিদের ঐক্যবদ্ধ করছেন। ঠিক তখনই আ.লীগ সাথে বেইমানি করা একটি কুচক্রি মহল যারা গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌর সভা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং জেলা পরিষদ নির্বাচনসহ সব গুলো নির্বাচনেই নৌকার বিরোধিতা করে আসছেন তারাই জামায়াত বিএনপির সাথে আঁতাত করে আবারো দলের ও দলের নেতাসহ সাংসদ ফারুক চৌধুরীর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছেন।
উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন রাজশাহী -১ (তানোর গোদাগাড়ী) আসনের মানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর জনপ্রিয়তায় ইষার্ন্তিত হয়ে বিভিন্ন মিথ্যে গুজব জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টিতে লিপ্ত রয়েছেন।
প্রদীপ সরকার আরো বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সাংসদ আলহাজ¦ ওমর ফারুক চৌধুরী আবারো মনোনয়ন পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগ দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য দলের নেতা-কর্মিসহ সমর্থকদের প্রতি উদার্থ আহবান জানান।
তিনি বলেন, এমপি ফারুক চৌধুরী রাজনীতির মাঠে উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। ২০০১ সাল থেকে অদ্যবদি দল ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছেন। তানোর গোদাগাড়ী বিএনপি জামাত অধ্যাষিত এলাকা ছিলো। সেই এলাকাকে তিনি তচনছ করে আ.লীগকে নতুন রুপ দিয়েছেন।
তিনি পালিয়ে যাওয়ার মত নেতা না, তিনি কর্মীদের জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করেন যা দিনের আলোর মতই পরিস্কার। এসব কিছুই না একটি কুচক্রি মহল যারা দলের সাথে বেইমানি করে বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করেছেন তারাই চেষ্টা করছেন এমপিকে কেন্দ্রে বা দেশরতœ শেখ হাসিনার কাছে অগ্রহন যোগ্য করার।
সাংবাদিক সম্মেলনের সভাপতি মা'ইনুল ইসলাম স্বপন তার বক্তব্যে বলেন, রাজনীতিতে পক্ষ বিপক্ষ থাকতেই পারে। কিন্তু অন্যদলের লোকজন ঘটনাটিকে মিথ্যা হিসেবে দেখলেও নিজ দলের এক মহল বা নৌকা বিরোধীরা অপপ্রচার করেছেন।
তাদেরকে বলতে চায় এমপির রাজনীতির বীজ অনেক শক্তিশালী। সুতরাং তাকে এসব করে রাজনীতির মাঠ থেকে সরানো যাবে না। আগামী নির্বাচনেও তিনিই নৌকা প্রতীক পাবেন। এটা বুঝতে পেরে এসব যড়যন্ত্র করছেন। তাদেরকে আহবান জানাব এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা মানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে মিথ্যাচার করা। তাদের চক্রান্ত কখনো সফল হবে না।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও জনপ্রিয় আ.লীগ নেতা আবুল বাসার সুজন, তানোর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক।
বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, পাঁচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল মতিন, কামারগাঁ ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ, চান্দুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
কলমা ইউনিয়ন আ.লীগ পূর্ব সবাপতি আবদুর রহিম, তালন্দ ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি আবদুল করিম, মুন্ডমালা পৌর আ.লীগ সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন মন্টু, তানোর উপজেলা সেচ্ছা সেবক লীগ সাধারন সম্পাদক রামির হাসান সুইট।
তানোর পৌ সভা সেচ্ছা সেবক লীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান শিবলন, তালন্দ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মুখলেছুর রহমান প্রমুখ। এ সময় তানোর উপজেলা আ.লীগ, যুবলীগ সেচ্ছা সেবক লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।