ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় ছুরিকাঘাতে সাঈদ (১৭) নামে এক স্কুল ছাত্র খুন হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলা গ্রামে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো. সুমন (১৭) নামের আরেক স্কুলছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সাঈদ উপজেলার দেওখলা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। সুমন একই এলাকার বাসিন্দা। তারা দুজনই হরেকৃষ্ণ ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইভটিজিং সংক্রান্ত ঘটনায় মঙ্গলবার সুমন ও সাইদ গংদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দাওয়া-পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকার বড় ভাই নামে পরিচিতরা মীমাংসা করে। বুধবার সকাল সোয়া ১০ টার দিকে দেওখোলা ইউনিয়ন হাসপাতাল রোডে একটি প্রাইভেট সেন্টারে পড়তে আসে এসব শিক্ষার্থীরা। এমন সময় হঠাৎ তর্কে জড়িয়ে পড়ে সাইদ ও সুমন গংরা। ঠিক তখনই সুমন মিয়া তার হাতে থাকা চাকু দিয়ে সহপাঠী সাঈদ (১৭) ও শ্রাবণ (১৭) কে আঘাত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে সাইদের অবস্থা আশংকাজনক হলে ঐদিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭ টার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক সাঈদ কে মৃত ঘোষণা করেন। সেদিন রাতেই শ্রাবণের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ঘটনায় নিহতের পিতা আবু তাহের বাদী হয়ে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১২ টায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।