ময়মনসিংহে ত্রিশালে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন মাষ্টার হত্যা মামলায় ছয় জনের মৃত্যুদন্ড ও দুইজনের যাবতজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবারর বিকালে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবরিনা আলী এ রায় দেন। এ রায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামীকে ৫০ হাজার টাকা যাবতজ্জীবনপ্রাপ্ত দুইজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি হলেন, ত্রিশাল উপজেলার খাগাটিপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেন, জামতলী গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন, নারায়নপুর গ্রামের রুবেল, সোহাগ, সেলিম ও মো. ইদ্রিছ। যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রায়মনি গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন ও খাগাটিপাড়া গ্রামের দুলাল উদ্দিন।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০১৮ সালে ৪ জুলাই রাতে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাগাটি জামতলী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন (৬৫) প্রতিদিনের ন্যায় তার বাড়ীর পাশ্ববর্তী নিজের মাছের ফিসারিতে রাত্রি যাপনের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরের দিন বুধবার ভোরে ফিসারীর পানি থেকে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মাহমুদুল হাসান মামুন বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ শুনানী ও ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ৬ আসামীদেরকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ প্রদান করেন এবং দুইজনকে যাবতজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এ রায়ে খুশি হয়ে নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন দ্রুত যেন এই রায় কার্যকর করা হয়।